তিস্তা প্রসঙ্গ : পানি আসবেই, কেউ আটকে রাখতে পারবে না
তিস্তার পানি আসবেই, পানি কেউ আটকে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তাঁর ভারত সফর সবদিক দিয়েই সফল হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল এই সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তার পানি নিয়ে এখন অনেকেই কথা বলেন; কিন্তু ভারত যখন গজলডোবায় বাঁধ দিল, তখন যারা ক্ষমতায় ছিল, তখন তো কেউ কথা বলেনি। পরে ওই নদীতে আমরা ব্যারাজ করলাম। এটাও ভুল ছিল। এর ফল এখন পাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ছাড়াও অনেক সরকার এসেছে। অন্যরা কেউ তিস্তার পানি নিয়ে টুঁ শব্দ করেননি।
তিস্তার পানি প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য কি না, এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমিও বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। তাঁকে বলেছি, অন্য নদীর পানিগুলো তাঁরা নিজেরা নিয়ে তিস্তার পানি আমাদের দিন। এটা নিয়ে আলোচনা চলবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আলোচনা করছি। তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতা কিন্তু একেবারে না করেননি। আশপাশের নদীগুলো সংযোগ করে এটা করার কথা বলেছেন। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিস্তা চুক্তি হবেই। তিনি (মোদি) ও আমি ক্ষমতায় থাকতে এটা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ভারত সফর সবদিক দিয়ে ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সফরটা ফলপ্রসূ হয়েছে, সম্পূর্ণ তৃপ্তির। ভৌগোলিক সীমারেখা বা জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ কম হতে পারে। কিন্তু সার্বভৌমত্বের দিক দিয়ে সমান-সমান। এই সম্মানটা বাংলাদেশের। এখানে হতাশার কিছু নেই। আমি যে সিদ্ধান্ত নিই, তা দৃঢ়চেতা হয়েই নিই। আমরা লক্ষ্য ছিল আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলা, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে, সেগুলো নিয়ে লুকোছাপার কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘আমি যতক্ষণ আছি, বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কিছু হবে না।’
চার দিনের ভারত সফর শেষে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য চালু নেই