তিন বছর সময় চাইবে বিজিএমইএ

ভবন সরিয়ে নিতে আদালতের কাছে তিন বছর সময় চাইবে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। ভবন ভাঙার নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল। রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।

রবিবার সকালে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। কিন্তু ভবন ভাঙার শেষ পর্যায়ে যেতে এখনও কিছু কাজ বাকি আছে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিনি বলেন, ভবন ভাঙার বিষয়ে হাইকোর্টের যে রায় ছিল সেটাই বহাল থাকলো। তবে ভবন সরিয়ে নিতে এখনও কিছু কাজ বাকি আছে। কতদিনের মধ্যে ভবন সরাতে হবে সে নিয়েও বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) আদালত আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিজিএমইএ অন্যত্র সরাতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে একটি আবেদন দিতে বলেছেন আদালত। ওই দিন আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের পক্ষ থেকে ভবন সরিয়ে নিতে তিন বছর সময় আবেদন করা হবে। তারপর আদালত যে সিদ্ধান্ত দেন সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের পেছনের অংশে অবস্থিত বিজিএমইএ এর ১৬ তলা ভবনটি অবিলম্বে সংগঠনের নিজ খরচায় ভেঙে ফেলতে রায় দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গত বছরের ৮ নভেম্বর প্রকাশিত হয়।

২০১১ সালে হাইকোর্টের রায়ে ওই ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এই লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, জলাভূমিতে অবস্থিত ‘বিজিএমইএ কমপ্লেক্স’ নামের ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে নির্দেশ দেওয়া হলো। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। পরবর্তীতে এই রায়টি পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেছিল বিজিএমইএ।



মন্তব্য চালু নেই