তাহলে কি হারিয়ে গেলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ?

বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও বিশ দলীয় জোটের চলমান আন্দোলনে খন্ডকালীন মুখপাত্রের দায়িত্বপ্র্রাপ্ত সালাহ উদ্দিন আহমেদ কি তাহলে হারিয়ে গেলেন? তিনি কি আর ফিরে আসবেন না? তিনি কি গুম হয়ে গেলেন? না-কি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে আটকের বিষয়টি কৌশলগত কারণে স্বীকৃতি দিচ্ছে না? এমনই নানা প্রশ্ন দানা বাঁধতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

গত ১০ মার্চ মঙ্গলবার রাত দশটার পর উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহ উদ্দিনকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে পরিবারের পক্ষ থেকে। ঠিক একই দাবি করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকেও। এমতাবস্থায় আজ শুক্রবার তাঁর নিখোঁজ হওয়ার ৭৫ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও তাঁর কোন খোঁজ না থাকায় সালাহ উদ্দিন আহমেদের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলসহ সচেতন মহলে শুরু হয়েছে নতুন করে আলোচনা।

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতারের বিষয়টি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে তারা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করেননি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানাচ্ছে তারা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা করে আসছিল তবে তার সন্ধান না পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করেনি তারা।

তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, সাদা পোশাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ বা ডিবি পুলিশের একটা দল মঙ্গলবার রাত দশটার পর উত্তরার একটি বাসা থেকে তাঁর স্বামীকে উঠিয়ে নিয়ে যায়৷ তিনি জানান, উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে সালাহ উদ্দিন অবস্থান করছিলেন৷ সেই বাসার দারোয়ানকে ডিবি-র পরিচয় দিয়ে ভেতরে ঢুকে দোতলার দরজা ভেঙে তাঁর স্বামীকে নিয়ে যায় তারা৷

এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকেও দলের নেতা নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতেও অভিযোগ করা হয়েছে যে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটক করেছে তবে তারা সে কথা স্বীকার করছে না৷ তিনি দাবি করেন, রুহুল কবির রিজভীর গ্রেপ্তারের পর দু’মাস ধরে অবরোধ-হরতালের বিষয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছিলেন৷ সে কারণেই তাঁকে আটক করা হয়েছে৷

এদিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদের খোঁজ চেয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এক রিট দায়ের করেছেন তার স্ত্রী। হাইকোর্ট রিটের প্রেক্ষিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ কোথায় তাহা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার ঐ রিটে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সালাহ উদ্দিন আহমেদের অবস্থান জানানোর আবেদন করা হয়েছে৷ তবে হাইকোর্ট সরকারের প্রতি বলেছেন আগামী রবিবারের মধ্যে তাঁকে খুঁজে বের করে সশরীরে আদালতে হাজির করতে হবে৷

এদিকে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটকের কথা বলে তার মুক্তি দাবি করেছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন, যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে মুক্তি দিন, অন্যথায় পরিণতি শুভ হবে না বলেও হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।



মন্তব্য চালু নেই