তাজুলসহ জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদসহ জামায়াত-শিবিরের ৫ নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে তাজুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বদরুদোজ্জা বাদল, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল লিখিত জবাব দাখিল করেন।
অপরদিকে জামায়াত নেতাদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম সময় আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম ও তুরিন আফরোজ।
জেয়াদ আল মালুম জানান, তাজুল ইসলাম আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, শিবিরের সভাপতি আবদুল জব্বার ও জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামসহ ৬ জনকে শোকজ নোটিশ (কারণ দর্শানো নোটিশ) দেওয়া হয়।
অন্য তিনজন হলেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান,ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান ও ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান।
ওই দিন শোকজ নোটিশে “কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না” এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার পর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন যে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়েছে সেটা গ্রহণ না করে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা হলেই সুবিচার হতো, এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ফাঁসি তো দূরের কথা প্রসিকিউশনের জরিমানা করা হলে ভালো হতো।’’
মন্তব্য চালু নেই