তনু হত্যাকাণ্ড : তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের রিট আবারো শুনানির তালিকায়

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়ার পরের দিন আবারো হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় উঠেছে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. সেলিম এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকার ৫৩ নম্বরে ছিল। তবে আগামীকাল (বুধবার) রিটের শুনানি হবে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।

তিনি বলেন, তনু হত্যার বিষয়ে করা রিট আবেদনটি আজ মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় ছিল। মামলার নথিপত্র না আসায় রিটের শুনানি হয়নি। বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ থেকে এই মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র নতুন বেঞ্চে না আসায় শুনানি হয়নি। তবে আগামীকাল রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

এর আগে ১৮ এপ্রিল সোমবার আবেদন (আউট অব লিস্ট) হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন মামলার তদন্ত চলমান এই যুক্তি দেখিয়ে। রিটের শুনানির প্রাথমিক শুনানির পর্যায়ে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সম্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে এই আদেশ দেন।

গত ৩ এপ্রিল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এই সংক্রান্ত রিট আবেদন করেন। রিটে বিবাদীরা হলেন, প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট সচিব, কুমিল্লা সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার, পুলিশের আইজিপি, কুমিল্লার পুলিশ সুপার, কোতয়ালী থানার ওসিসহ আট জন।

রিটে নারী নিযাতন বন্ধ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তনু হত্যাকারীদের গ্রেফতারের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী বলেন, রিটে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানোর পাশাপাশি ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।

গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরেই বাসা থেকে ২০০ গজ দূরে টিউশন শেষে ফেরার পথে নিখোঁজ হন তনু। রাতেই অলিপুরের একটি ঝোঁপের মধ্যে তনুর লাশ পাওয়া যায়; পাশেই ছিল তার জুতা, ছেঁড়া চুল ও ছেঁড়া ওড়না।

ভিক্টোরিয়া কলেজের অর্নাসের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরে অলিপুর এলাকায় সপরিবারে থাকতেন। তার বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।



মন্তব্য চালু নেই