তথ্য পেয়েছে দুদক, তদন্ত স্বার্থে গোপনীয়তা

পানামা কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশে যেসব নাম এসেছে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা অডিটরিয়ামে শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যেদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারির অনুসন্ধানের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, ‘পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারির বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। এজন্য টিম গঠন হয়েছে, সেই টিম অলরেডি কাজ শুরু করেছে। আমরা কিছু নোটিশও দিয়েছি। কয়েকজনকে ডাকও হয়েছে। তারা আমাদের কাছে সময় চেয়েছেন। আমরা তাদের সময়ও দিয়েছি। তারপর আমরা বুঝতে পারবো তারা কী দেয়। এছাড়া আমরা ইতোমধ্যে কিছু তথ্যও পেয়েছি, তবে তদন্তস্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর অনুসন্ধানের বিষয়ে বলেন, ‘আপনারাই নিজেরাই লিখেছেন , তিনি এতো সম্পদ কোথা থেকে পেয়েছেন। সেজন্যই আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ। শুধু আসলাম সম্পর্কে না অনেকের জন্যই একই প্রশ্ন। তাই অভিযোগটি যখাযথ মনে করেই অনুসন্ধানে নেমেছি। আর ব্যাংকে যারা ভুয়া মর্টগেজ দিয়ে টাকা নেয় তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

প্রভাবশালীদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এমন প্রশ্ন ওঠার কোনো কারণ নাই। আপনারা নিজেরাও জানেন আমরা আইনের বাইরে কোনো কাজ করতে পারবো না। কেউ যদি আইনের কাছে আশ্রয় নিয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে আমরা কিছু করতে পারবো না। আর আমাদের কাছে কোনো প্রভাবশালী নেই।’

ভয় দিয়ে কোনো কিছু জয় করা যায় না উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি মনে করি দুদককে বাঘের সঙ্গে তুলনা করা উচিত না। যারা দুর্নীতিবাজ তারাই কেবল দুদকবে ভয় পাবে, কিন্তু সাধারণ জনগণের এটি আস্থার প্রতিষ্ঠান। আমি বিশ্বাস করি, মানুষকে ভয় দিয়ে নয়, সম্মান ও সততা দিয়ে দুর্নীত প্রতিরোধ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সমাজ দুর্নীতিমুক্ত হোক, এই জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার দুর্নীতি প্রতিরোধ। সরকার ও সমাজসহ সবাই মিলে একই প্রক্রিয়ায় কাজ না করলে দুর্নীতি স্থায়ীভাবে কমানো যাবে না।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) ড. শামসুল আরেফিন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই