ঢাকা মেডিকেলে রোগীর স্বজনকে ধর্ষণের অভিযোগ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে হাসপাতালে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে।

ঘটনার শিকার ২০ বছর বয়সী তরুণী শুক্রবার শাহবাগ থানায় বকুল সরকার নামের ওই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেছেন। ওই আনসার সদস্য বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তার বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক সরকার। বাড়ি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার তালাইহাটা গ্রামে।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মামলায় বকুল সরকার (২৫) নামের ওই আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তিনি ঢামেক হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে ভিকটিম পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হবে। হাসপাতালের আনসার ক্যাম্পের মতো জায়গায় এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল তার তদন্ত চলছে।

ঘটনার শিকার তরুণী জানান, ২৫ এপ্রিল থেকে হাসপাতালের ২১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তার বাবা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর পর থেকেই তিনি বাবাকে দেখাশোনার জন্য হাসপাতালে অবস্থান করছেন। গত ১৬ মে বাবাকে অপারেশন থিয়েটারে নিলে সেখানে আনসার সদস্য বকুল সরকারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সে তার বাবার চিকিৎসায় নানাভাবে সহযোগিতা করে। এতে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হলে আনসার সদস্য তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়।

তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘনিষ্ঠতার সূত্রে বকুল সরকার তাকে হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় আনসার ক্যাম্পে নিজের থাকার রুমে নিয়ে যায়। সেখানে রেখে রাতভর তাকে পাশবিক নির্যাতন করে। একইভাবে অন্তত তিন দিন এমন ঘটনার পর তিনি আনসার সদস্যকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। পরে তিনি বিষয়টি হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসারের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে জানান। ওই কর্মকর্তা বকুল সরকারের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন। শুক্রবার তিনি জানতে পারেন বকুল সরকার পালিয়ে গেছে।

ঢামেক হাসপাতালের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) কিরণ আলী জানান, রোগীর ওই মেয়েটি বিষয়টি তাকে অবহিত করেন। এ সময় তাদের বিয়ে দেওয়া হবে বলে বকুল সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গোপনে ঢামেক হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায় বকুল সরকার।



মন্তব্য চালু নেই