ঢাকা ছাড়লেন শি জিনপিং

দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে শনিবার সকাল ১০টায় ভারতের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তাকে বিদায় জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে সকাল সোয়া ৯টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখানে তাকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে শি জিনপিংকে বহনকারী বিমানটি। আকাশ পথে বাংলাদেশ বিমানের ৪টি জেট বিমান পাহারা দিয়ে তাকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন। ১২টা ২ মিনিটে চীনের প্রেসিডেন্ট বিমান থেকে নেমে আসলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চীনের প্রেসিডেন্টকে বরণ করে নেন। এ সময় দুই প্রেসিডেন্ট পারস্পরিক কুশল বিনিময় করেন।

২১ বার তোপধ্বনির মাধ‌্যমে স্বাগত জানানো শি জিনপংকে। লাল পাড়ের সুবজ শাড়ি পড়া একটি শিশু ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তাকে। এরপর লাল গালিচায় হেঁটে সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান প্রেসিডেন্ট। মঞ্চে পৌঁছার পর সামরিক বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। বাজানো হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত। এরপরই বিমান বন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শি জিনপিং লো মেরিডিয়ান হোটেলে এসে পৌঁছান।

সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান চীনের প্রেসিডেন্ট। এরপর বেলা ৩টা ৩ মিনিটে শি জিনপিংকে বহনকারী গাড়ি বহর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানান। অভ্যর্থনা শেষে ৩টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন শি জিনপিং।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২৭টি চুক্তি ও সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে আবার হোটেলে ফেরেন শি জিনপিং। বিকেলে হোটেলে তার সঙ্গে দেখা করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও শি জিনপিং। বৈঠক শেষে চীনের প্রেসিডেন্টের সম্মানে নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় বঙ্গভবনে। এরপর পুনরায় হোটেলে ফিরে রাত কাটান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই