‘ডালিম হোটেলের হর্তাকর্তা ছিলেন মীর কাসেম’
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলের হর্তাকর্তা ছিলেন মীর কাসেম আলী। হোটেলের সব নিয়ন্ত্রণ তার হাতে ছিল বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আজ রবিবার সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে মীর কাসেমের রিভিউ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
জসিমকে হত্যায় মীর কাসেম আলীর সরাসরি জরিত থাকার বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেনের বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি আদালতকে দেখিয়েছি জসীম যে ডালিম হোটেলে বন্দি অবস্থায় ছিল-এটা প্রমাণিত। মীর কাসেম আলীর যে সেখানে সব নিয়ন্ত্রণ ছিল। জসীমকে যখন নির্যাতন করে ফেলে দেওয়া হয়, তখন সেখানে মীর কাসেম ছিলেন।২ নম্বর সাক্ষী শফিউল আলম এটা তার সাক্ষে বলেছেন। অন্য কয়েকজন সাক্ষী মীর কাসেমের উপস্থিতি ও অত্যাচার এবং জসীমকে ফেলে দেওয়া,সেই সময়ে তার উপস্থিতির বিষয়ে সায় দিয়ে বলেছেন।
সাক্ষী নাই বলে আসামি পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য ঠিক নয়-উল্লেখ করে তিনি বলেন, মীর কাসেম ডালিম হোটেলের হর্তা-কর্তা ছিলো, জসীম ওখানে মারা গেছে, তা তারা নিজেরাই অস্বীকার করে নাই। যারা অত্যাচারিত হয়েছে, প্রত্যেকেই মীর কাসেম আলীর কথা বলেছে। ১২ নম্বর চার্জেও মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড হতো, যদি প্রসিকিউশন ঠিকমত মামলাটি পরিচালনা করতো।
তিনি বলেন,‘কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনকে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে মীর কাসেম আলীর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আর এই অভিযোগেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আপিল বিভাগ। আশাকরি রিভিউর রায়ে এই মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে।’
মীর কাসেম দানশীল ব্যক্তি ছিলেন আসামিপক্ষে এমন বক্তব্যের বিষয় তিনি বলেন, তারা যেটা বলতে চান যে, তিনি একজন দানশীল ব্যক্তি। আমি আদালতে বলেছি, তিনি ২৫ লাখ ডলার দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, এটা আমি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, যা আসামিপক্ষ অস্বীকার করেনি।
তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি যিনি বিচারকে বন্ধ করতে পন্থা অবলম্বন করতে বিদেশি লবিস্ট নিয়োগ করতে পারেন, এই ধরণের ব্যক্তি কোন রকম ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য না।
মন্তব্য চালু নেই