ট্রেন চলাচল বন্ধ

ট্রেনের ধাক্কায় বরযাত্রীবাহী বাসের নিহত ১০

ঝিনাইদ’র কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার নামক স্থানে খুলনাগামী ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ধাক্কায় বরযাত্রীবাহী বাসের শিশু ও নারীসহ ১০ জন নিহত হয়েছে। এতে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছে।

শুক্রবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে বারোবাজার রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের ঝিনাইদহ ও যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতরা হলো- বিপ্লব, উজ্বল, কৌশিক, বন্যা, কৃষ্ণা, সুজয়, বিমল, কমলি, সুভন ও সুবির। এদের বাড়ি জেলার শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামে। নিহতদের মধ্যে একজনের বাড়ি কালীগঞ্জে।

এদিকে এ ঘটনায় উদ্ধার কাজ শেষে সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। গেইট ম্যানের দায়িত্ব অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম জানান, সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন ভোর পৌনে ৪টার দিকে বারোবাজার রেলস্টেশন পার হচ্ছিল। এ সময় বরযাত্রীবাহী একটি বাস রেললাইন ক্রস করতে গেলে ওই ট্রেনটি বাসটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে থেমে যায়। এতে বাসটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা দমকল বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। তারা ঘটনাস্থল থেকে শিশু ও নারীসহ ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো একজন নিহত হয়।

আহত প্রায় অর্ধশত বরযাত্রীকে ঝিনাইদহ ও যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ৪ জনকে ঢাকা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানান, খুলনা থেকে রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শেষ করলে দীর্ঘ সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১১টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে রাজশাহী ও পাকসি থেকে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত কাজ শুরু করেছে বলে বারোবাজার স্টেশন মাস্টার আবু সানিয়াত তুর্কি জানান। তবে কয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তা তিনি জানাতে পারেননি।

কোটচাঁদপুর সার্কেল এসপি জাহিদুল ইসলাম জানান, গেট ম্যানের কর্তব্যের অবহেলার কারণেই এ ঘটনা ঘটতে পারে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবির্ক নাসরিন জাহানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

স্থানীয় শাকো মোছনপুর গ্রাম থেকে বিয়ে করে বরযাত্রীরা জেলার শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামে ফিরছিল। এই বাসে প্রায় ৯০ জন যাত্রী ছিল।



মন্তব্য চালু নেই