ট্রলারডুবিতে নিখোঁজদের উদ্ধারে নিষ্ফল অভিযান

চাঁদপুরের মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় গত দু’দিনেও নিখোঁজ ৯ যাত্রীর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধান মেলেনি রবিন নামে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিরও।

লাশ উদ্ধারে বুধবার নৌ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের নিষ্ফল অভিযান শেষ হয়েছে। অভিযানে ট্রলার কিংবা কোন মৃতদেহ না পাওয়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের অভিযান স্থগিত করা হয়।

এদিকে নদীর পাড়ে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে এবং হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

সরকারি হিসাবে এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

গত ২৬ জানুয়ারি হাইমচরের তেলির মোড়সংলগ্ন মেঘনায় ট্রলারডুবি হয়। নদীতে তেলির মোড় থেকে চরভৈরবী পর্যন্ত নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা সন্ধান কার্যক্রম চালান। বুধবার সন্ধ্যায় কুয়াশা নেমে আসায় ফায়ার সার্ভিসের সন্ধান কাজ সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সন্ধান কার্যক্রম পরবর্তীতেও চলবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস হাইমচর স্টেশন লিডার এসএম শামীম জানান, আমাদের এবং নৌবাহিনীর ডুবুরি দল সকাল থেকে নদীতে জাহাজের সাহায্যে অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে নিখোঁজদের স্বজনরা কাকডাকা ভোরে মেঘনা তেলির মোড় থেকে চরভৈরবী জালিয়ার চর পর্যন্ত নদীর পাড়ে তাদের স্বজনদের খোঁজ করতে দেখা যায়। কেউ কেউ ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে নদীতে তাদের স্বজনদের খুঁজছেন। কিন্তু কাউকেই পাওয়া যায়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে নিখোঁজরা আর বেঁচে নেই।

চরভাঙ্গা গ্রামের দাদন মিয়া জানান, তার বোন, ভাগিনা ও ভাগ্নি ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ রয়েছেন। দাদন ও তার ভগ্নিপতির পরিবার নদীর পাড়ে নিখোঁজদের পাগলের মতো হয়ে খুঁজছেন।
উপজেলার চরভৈরবী এলাকার জামাল বেপারীর একমাত্র ছেলে ফাহিম (৩) ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন। তার পুরো পরিবার নদীর পাড়ে চরের বিভিন্ন স্থানে খুঁজছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রবিন নামে ট্রলারটি একটি জাহাজের ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। এতে কিছু যাত্রী উঠতে পারলেও এখনো অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই