ট্যাম্পাকোর নকশা না থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত

টঙ্গীর ধসে পড়া কারখানা ট্যাম্পাকো ফয়েলসের ভবনের নকশাসহ ভেতরের তথ্য না থাকায় পুরোদমে উদ্ধার ও আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার সকালে বিসিক শিল্পনগরীর ওই প্যাকেজিং কারখানায় বিস্ফোরণে পর আগুন ধরে যায় এবং পাঁচতলা কারখানা ভবনের কাঠামোও ধসে পড়ে।

দগ্ধ হয়ে ও ভবনের নিচে চাপা পড়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৩ জনের নিহত হওয়ার এবং ১০ জনের নিখোঁজ থাকার তথ্য দিয়েছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন।

ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও মালিকপক্ষ কারখানার ভেতরের কোনো তথ্য দেয়নি; পাওয়া যায়নি ভবনের নকশাটিও।

সে কারণে পরিকল্পনামাফিক উদ্ধার অভিযান চালানো যাচ্ছে না বলে সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান।

তিনি বলেন, “কারখানার নকশা না থাকায় ভেতরে কোথাও দাহ্য পদার্থ আছে কি না, থাকলে কি কি আছে তা জানা যাচ্ছে না। সে কারণে অভিযান চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

“ঘটনাস্থলে অনেক ড্রাম ফুলে ফেঁপে আছে। এগুলোর ভেতরে কি আছে তা জানা দরকার।”

উদ্ধার কাজে সহযোগিতা না করে মালিকপক্ষ সরকারের উপরের মহলে তদবিরে ব্যস্ত আছে বলে অভিযোগ করেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।

সোমবার সন্ধ্যায় কারখানার পূর্বপাশে সোনানী ব্যাংক সংলগ্ন একটি বিধ্বস্ত ভবন থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা সেখানে দীর্ঘক্ষণ পানি দেওয়ার পর সাদা ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

এবিষয়ে গাজীপুরের এসপি হারুন অর রশিদ বলেন, “মালিক পক্ষের কিংবা কারখানার ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা ঘটনার পর থেকে পালিয়েছে। আমরা তাদেরকে খুঁজছি।”

সিলেটে বিএনপির সাবেক সাংসদ সৈয়দ মো. মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন এই প্যাকেজিং কারখানাটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত।

টঙ্গী এলাকার শ্রম পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পর থেকে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তাদের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।”



মন্তব্য চালু নেই