টেকনাফ কেরুনতলী স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস নিচ্ছে খোলা আকাশের নিচে

সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানদের লেখা-পড়ার এক মাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্টান কেরুনতলী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গেল ঘূর্ণিঝড়ঁ কোমেনের আঘাতে স্কুল গৃহের ছাউনি নিয়ে গেছে। অর্থের অভাবে নতুন করে স্কুল গৃহের ছাউনি দিতে না পারায় কোমলমতি শিশুরা ঝড়েভিজে, রোদে পুড়ে প্রচন্ড রোদের তাপে বসে লেখা পড়া করছে।

বিদ্যালয়টি গত ২০১৪ সালে প্রতিষ্টিত হয়। বনবিভাগের জমিতে প্রতিষ্টিত হওয়ার কারনে এখনো পর্যন্ত সরকারী অর্šÍভূক্ত হয়নি। এমনকি সরকারী-বেসরকারী কোন প্রতিষ্টান থেকে এ স্কুলের জন্য সাহায্য আসেনি। এলাকার হতদরিদ্র লোকজন তাদের হাড়ঁ ভাঙ্গা পরিশ্রমের টাকা দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করে ছেলে মেয়েদেরকে লেখা-পড়া করাচ্ছেন।

স্কুল পরিদর্শনে দেখা যায়, উক্ত ওয়ার্ডের দুটো গ্রাম যথক্রমে কেরুনতলী ও বরইতলীর প্রায় ৩শ ছাত্র/ছাত্রী এ স্কুলে লেখা-পড়া করছেন। শিক্ষক রয়েছে ৩জন। প্রতিমাসে ৩জন শিক্ষকের বেতন গুনতে হচ্ছে ২১হাজার টাকা। উক্ত টাকা প্রতিমাসে আদায় করতে না পেরে অনেক শিক্ষকের বেতনের টাকা বকেয়া রয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানায়।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আজগর (আজগর মাঝি) জানায়, আমাদের গ্রাম দুটো এমন স্থানে অবস্থিত গ্রামের ছেলে মেয়েরা পার্শ্বের গ্রামের স্বনিকটে স্কুল না থাকায় লেখা-পড়া করতে পারেনা। এ ছাড়া এখানে বেশীর ভাগই লোকজন বনবিভাগের জমির উপর বসবাস করে। যাদের ৯৫ শতাংশ লোকজন হতদরিদ্র। যাদের নূন আন্তে পান্তা ফুরায়।

এদের ছেলে মেয়ে দূর দূরান্তে লেখা-পড়া করা মোটেও সম্ভব নহে বিধায় আমরা নিজেদের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে এ স্কুলটি চালিয়ে আসচ্ছি। গত ঘূণিঝড়ঁ কোমেনের আঘাতে স্কুল গৃহের সম্পূর্ণ ছাউনি বাতাসে নিয়ে গেছে। অর্থের অভাবে এখনো পর্যন্ত ছাউনি দিতে না পারায় খোলা আকাশে ঝড়ে ভিজে রোদে পুড়ে প্রচন্ড তাপে শিশুরা লেখা পড়া করছে।

এ ব্যাপারে তিনি এলাকাবাসী ও স্কুলের পক্ষ থেকে স্কুল গৃহটি নিমার্ণের জন্য অর্থের সাহায্যের হাত প্রসারিত করার জন্য উখিয়া টেকনাফের সংসদ আলহাজ্জ আব্দুর রহমান বদি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ জাফর আহাম্মদ ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আলমের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই