ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ : কয়েক শ’ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে সৃষ্ট ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোয়ানুর প্রভাবে ঝড়ে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ও পটুয়াখালী দশমিনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক শ ঘরবাড়ি। এতে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আর চট্টগ্রামের সীতকুণ্ডের সলিমপুরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ আরো শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কোনো এক সময় বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে এটি।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আগের মতোই ৭ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ঝড়ে ভোলা ও পটুয়াখালীতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ভোলা : ভোররাতে ঝড়ে ঘর চাপা পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের শশীগঞ্জ গ্রামের নয়নের স্ত্রী রেখা বেগম (৩৫) ও একই এলাকার মো. মফিজের ছেলে আকরাম (১৪)।
তজুমদ্দিনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জালাল উদ্দিন দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পটুয়াখালী : শনিবার সকালে ঝড়ে ঘর ভেঙে পড়ে পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নে নয়া বিবি (৫২) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ঝড়ে ওই এলাকার আরো ১০-১২টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে রোয়ানুর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সীতকুণ্ডের সলিমপুরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় রাজধানী ঢাকা এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলাতেই বৃষ্টি হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই