ঝুঁকি নিচ্ছে নগরবাসী, বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রতি মুহুর্তে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে নগরবসী। একটু অসচেতনতার করণে ঝড়ে যাচ্ছে তাঁজা প্রাণ। ফুট ওভারব্রীজ ব্যাবহর না করে রাস্তাপার হলে, শাস্তির বিধান থাকলেও নেই কোন প্রয়োগ।

ঢাকার ব্যস্ততম এলাকা শাহবাগ মোড়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে হন্তদন্ত হয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। দেখে মনে হল, রাজ্যের কাছ ফেলে এসেছেন! কিন্তু রাস্তা পার হওয়ার পর তেমনটি মনে হলো না। এপারে এসে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি।

গিয়ে গিয়ে এভাবে রাস্তা পার হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মুচকি হাসি দিয়ে সরকারি চাকরিজীবী ফরিদ জনান, ‘জানি এভাবে পার হওয়া উচিত হয়নি, ঝুঁকি ছিলো। তবে খুব তাড়া থাকার কারণে এভাবে রাস্তা পার হয়েছি’।

শাহবাগ মোড়ে ২০ মিনিটে দাঁড়াতেই ২০-২৫ জনকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বা গান শুনতে শুনতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা পার হতে দেখা গেছে।

এভাবেই মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে, ফেসবুক চালিয়ে, এয়ারফোন কানে দিয়ে গান শুনতে শুনতে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন অসংখ্য পথচারী।

এ বিষয়ে শাহবাগ মোড়ের দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ ফরহাদ হোসেন জানান, ‘মানুষ নিজের জীবনের মূল্য না বোঝলে আমরা কি করব। আমরা গাড়ি পার করতে হিমশিম খাই সেখানে মানুষ কিভাবে পার করব। মাঝে মধ্যে ভ্রম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়। তাও মানুষের বোধ হয় না।’

অসর্তকভাবে এ রাস্তা পারাপারের কারণে গত কয়েক বছরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)- এর জরিপে জানা গেছে, অদক্ষ চালক, ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা ও জনগণের অসচেতনতার কারণে গত বছর সারাদেশে ২ হাজার ৬২৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর আগের বছর দুর্ঘটনার এ সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ৭১৩টি।



মন্তব্য চালু নেই