ঝিনাইদহ হাসপাতালের একমাত্র হৃদরোগ চিকিৎসক গাড়ি পোড়ানো মামলায় গ্রেফতার ॥ রোগীরা চরম ভোগান্তিতে

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এ কে এম কামালকে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যৌথ বাহিনী শনিবার মধ্যরাতে তাকে নিজ বাসা থেকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে ।

পুলিশ জানায় চলতি মাসের ১ তারিখে স্থানীয় চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় একটি গরুর ট্রাকে আগুন দেয়া এবং ৫/৬ টি বাসের গ¬াস ভাংচুর করেদুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সেই সাথে ডাঃ কামালের বিরুদ্ধে চলমান অবরোধ ও হরতাল এবং নাশকতা সৃষ্টি ঘটনায় অর্থযোগান দাতা হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে জেলা সদর হাসপাতালের একমাত্র হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এ কেএম কামালকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন রাতেই থানায় ছুটে যান। সকাল হতে না হতেই পরিবারের লোকজন সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ থানায় ছুটে যান। সকাল ১১ টার দিকে সিভিল সার্জন ডা; আব্দুস সালাম, বিএমএ নেতা ডাক্তার দুলাল চক্রবর্তী সহ চিকিৎসকদের একটি দল জেলা প্রশাসক মো: সফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো: আলাতাফ হোসেনের সাথে দেখা করেন।

সিভিল সার্জন জানান এ সময় হাসপাতালের কার্ডিও বিভাগের এক মাত্র ডাক্তার আটকের ঘটনায় সাধারন রুগীদের চিকিৎসা ব্যহত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আটকের কারন জানানো হয় না। অবশেষে বিকেল ৫ টার দিকে আদালতে পাঠানো হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে অন্য একটি সুত্র জানায় ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন নিয়োগ নিয়ে ডাক্তারদের মধ্যে বিভেদের কারণে ডাক্তার কামালকে অর্থযোদানদাতাসহ জামায়াত সংশ্লিতার অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ছাড়া জমিজমা নিয়ে শরীকদের সঙ্গে দ্বন্দের কারণে অর্থবিত্তশালী না হয়েও আদর্শপাড়ার রোগগ্রস্থ ইয়াকুব আলীকে নাশকতায় অর্থ যোগানদাতা হিসেবে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। অর্থের অভাবে পরিবারটি ধুকছে। তার একামাত্র ছেলে শিমুল দোকানের কর্মচারী। পুজির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে আদর্শপাড়ার মুদির দোকান। পিতার জমি বিক্রি করে কোন রকম একটি টিন সেড বাড়িতে স্ত্রী নাজমা বেগমকে নিয়ে বসবাস করেন। এমন একটি পরিবারকে নাশকতায় অর্থ যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করায় জনমনে নানা সন্দেহ ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য কয়েক মাস আগে ঝিনাইদহ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমানসহ তিন ব্যক্তিকে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে গোয়েন্দা রিপোর্টের সুত্র ধরে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে জেলায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিক্ষাভ মিছিলসহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই