নেপথ্যে ভূমিলোভী পিতা-পুত্রের কান্ড !
ঝালকাঠিতে এক অসহায় পরিরারকে জামায়াত কর্মী, মন্দিরের জমি দখল ও প্রতিমা ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি
ঝালকাঠির বাউকাঠি বাজারে একটি পরিবারের কাছে বিক্রি করা সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হঠাৎ কোটিপতি এক ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে জমি বিক্রেতাকে দিয়েই মিথ্যা মামলা ও সাম্প্রতায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র প্রচার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোটিপতে ব্যবসায়ী নিজে বিত্রনপি আর তার পিতা আওয়ামীলীগে যুক্ত হয়ে স্থানীয় পুলিশের শীর্ষ দু’এক কর্মকর্তা, ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কয়েকজন তরুন নেতার সাথে আতাঁত করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
ভূক্তিভুগী মৃত আঃ খালেক হাওলাদারের একমাত্র পুত্র আরিফুর রহমান জানায়, তার পিতা মৃত আ:খালেক হাওলাদারের জীবনদসায় বাউকাঠি বাজারের এসএ ৫৩৭, এসএ ৪৩৯ ও ৪০০ খতিয়ানের ০. ৫৭ এবং বিএস ১০২খতিয়ানে বিএস ৬০১,৬০২,৬০ ৩ নং দাগের মোট ১.৪০ একর জমির মধ্যে ০.১৯৫০ একর জমি সাব কবলা দলিলি মুলে ক্রয় করে। রেকর্ড, পর্চা, নামজারীকরনের পর কিছু জমি ভিপি তালিকাভূক্ত জানতে পারলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ১৪ নভেম্বর ১৯৯৩ইং তারিখ ১৬০/১(৩) নং স্মারকে ভিপি তালিকা থেকে অবমুক্ত করেন। তাদের সাড়ে ১৯ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে ১/১১ এর সময়কালে হঠাৎ কোটিপতি এ ব্যক্তি ও তার দলবল ‘অর্থের জোড়ে’ বেশীর ভাগই দখল করে নিয়েছে এবং এখোন তাদের ভোগ দখলীয় পোনে ৪শতাংশ জমিতে দখল করতে মড়িয়া হয়ে উঠেছে।
অভিযোগে আরো জানায়, ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর কোটিপতি ব্যবসায়ী মনির থলপরী একই দাগের ০.২৮০০ একর জমি ক্রয় করার পর অর্থ ও পেশীশক্তির বলে মৃত আ:খালেকের ঘর-দরজা ভেঙ্গে ফেলে প্রায় ০.১৫৫০ একর জমি দখল কর নেয়। ঝালকাঠি পুলিশ বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নিজ বসে থেকে ভূমীলোভীদের দখলকৃত জমিতে বিল্ডিং নির্মানে সহযোগীতা করেন বলে তারা দাবী করেন। নিরুপায় হয়ে আরিফ ভূমীলোভী মনির থলপরির পিতা আওয়ামীলীগের নেতা আমজেদ থলপরি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় গন্যমান্য ও থানা পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোন সাহায্য পায়নি বলে জানান। তাই বাধ্য হয়ে আরিফ বাদী হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মনির থলপরি, তার পিতা আ’লীগ নেতা আমজেদ থলপরি সহ ৬জনের বিরুদ্ধে অতি: জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতে এমপি ৪০৯/১৪ইং ও এমপি ৫৪৯/১৪ইং দুটি মামলা ও সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উচ্ছেদের জন্য ষড়যন্ত্রমূলক নানা অভিযোগ সহ প্রচার-প্রপাগন্ডা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মনির থলপরী সাতে আলাপকালে জানায়, তিনি জমি দখল করে নেয়া বা কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা করাকে ঘৃনা করেন। তিনি নিজে ঠকলেও কারো উপর অন্যায় বা জুলম করে না এবং মৃত আ:খালেক হাওলাদারের পরিবারের সাথেও জমিজমা নিয়ে কোন বিরোধ নেই। আমরা ২৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি তার বেশী একইঞ্চি জমি নেবোনা। মৃত আঃ খালেক হাওলাদার সম্পর্কে আমাদের আত্মিয় তাই তার পুত্র আরিফের কোন সমস্যা থাকলে আমাকে বলতে পারতো। তা না করে নবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর, স্থানীয় বক্কর মৃধা ও আরিফের ভগ্নিপতি মাদ্রাসা শিক্ষক ইব্রাহীমের কুপরামর্শ দিয়ে আর্থিক ফায়দা হাসিলের জন্য এসব বিরোধ সৃষ্টি করছে।
আরিফের ভগ্নিপতি মোঃ ইব্রাহীম জানায়, ভূমীলোভী চক্রের সহযোগীরা তার শ্যালক আরিফ ও তাকে হয়রানি করার জন্য কখনো জামায়াত কর্মী, কখনো ভিপি সম্পত্তি দখলকারী আবার কখোন প্রতিমা ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগ রটিয়ে বেড়াচ্ছে। এই চক্রটি ইতিপূর্বে ১৫ শতাংশ জমি দখলের পর বাকীটুকুও গ্রাস করতে সাম্প্রতায়িক বিরোধ সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে অভিযোগে করেন। তাই ভূমীলোভী চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিরীহ এ পরিবারটি উর্ধতন মহলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই