জুলহাজের খুনিদের শনাক্ত করা যায়নি : আইজিপি

রাজধানীজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগালে অপরাধীরা অপরাধ করে পার পাবে না। তাবেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের পর আশপাশের ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সন্দেহজনক গতিবিধি যাদের ছিল তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। পরে খুনিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়। কিন্তু কলাবাগানে জুলহাজ ও তনয় হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সময় আশপাশের ভবনে সিসিটিভি ক্যামেরা পাওয়া যায়নি। তাই ফুটেজ দেখে খুনিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এসব কথা বলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের বিভিন্ন এলাকা এখন থেকে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে থাকবে। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ক্যামেরার উদ্বোধন করেন আইজিপি। লালবাগ জোনের ব্যবসায়ীদের অর্থায়নে এ জোনের বিভিন্ন পয়েন্টে ৩ হাজার ৩৪০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

শহীদুল হক বলেন, এ এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আসায় অপরাধ কমে যাবে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালও সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা প্রয়োজন। ক্যামেরা থাকলে আমাদেরই উপকার। এর মাধ্যমে অপরিচিতদের মুভমেন্ট নজরদারি করা যাবে। প্রতিটি নাগরিক সচেতন হলে জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সমস্যা হবে না।

পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, থানায় যদি কেউ অভিযোগ জানাতে চায় তাদেরকে কোনোভাবেই অবজ্ঞা করা যাবে না। তাদের অভিযোগ শুনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই