জীবনে উন্নতির জন্য ৫ টি বিষয় মনে রাখবেন সবসময়
১. যাঁরা ভালো উপদেশ দিয়ে আপনাকে আরো বেশি মানবীয় করে তুলতে পারেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। এ ক্ষেত্রে ধর্মের কথা বলা যায়। প্রতিটি ধর্ম মানুষকে আরো উত্তম প্রাণী হয়ে উঠতে শেখায়। যাঁর যাঁর ধর্ম থেকে সহজে পালনযোগ্য কিছু উপদেশের চর্চা চালিয়ে যান। এর মধ্যে একটি হতে পারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। একটি ধন্যবাদের মাধ্যমে আপনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের দারুণ উন্নতি ঘটবে।
২. দৈহিক অঙ্গভঙ্গি বেশ প্রভাব বিস্তার করে। সাংবাদিক লিখেছেন, জর্জ ওয়াশিংটন তাঁর জীবনের ১১০টি নিয়মের কথা লিখেছিলেন। এর মধ্য থেকে ৮-৯টি বেছে নিয়েছেন তিনি নিজেই। যেমন ওয়াশিংটন তাঁর ভঙ্গিমার জন্য রীতিমতো বিখ্যাত ছিলেন।
৩. ছোটবেলায় মা-বাবা সন্তানকে এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকা পড়তে বলেন। তেমনই প্রায় পুরোটা পড়েছিলেন জ্যাকবস। এটি পড়েই আমেরিকার ঊনবিংশ শতাব্দীর এক মন্ত্রী থমাস ওয়েলস অ্যালকোহল খাওয়া ছেড়েছেন। ক্ষতিকর একটি বদভ্যাস জীবন থেকে তাড়িয়ে দিন।
৪. সৎ হতে জীবনে আমূল পরিবর্তন আনুন। ভার্জিনিয়ার এক মনোবিজ্ঞানী ব্রাড ব্লানটন এ বিষয়ে গবেষণা করেন। একটি মাত্র নীতি তিনি মেনে চলা শুরু করলেন। মস্তিষ্ক ও মুখের কথার মধ্যে যাবতীয় ফিল্টার পদ্ধতি বাতিল করলেন। অর্থাৎ মাথায় যা আসছে সত্যিকার অর্থে তাই প্রকাশ করতে থাকুন। এতে জীবনের আমূল পরিবর্তন আসছে বলে বুঝতে পারবেন।
৫. ইচ্ছাশক্তিকে বিভিন্ন স্তরে কাজে লাগাতে নিজেকেই উদ্যোগী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে অডিসিয়াস উদাহরণ হতে পারেন। হোমারের এই হিরো রহস্যময় সাইরেনদের হাত থেকে বাঁচার কৌশল নিলেন। সাইরেনদের গান এতটাই মন ভোলানো যে নাবিকরা পানিতে ঝাঁপ দেন এবং সেখানেই জীবনের ইতি ঘটে। অডিসিয়াস নিজের কান দুটো মোম দিয়ে বন্ধ করলেন এবং অন্যদের জাহাজের মাস্তুলের সঙ্গে বেঁধে ফেললেন।
–বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার
মন্তব্য চালু নেই