জিএসপি নয়, রানা ও তাজরীন দুর্ঘটনাই ইস্যু :ড্যান ডব্লিউ মজিনা

বস্ত্রখাতে বাংলাদেশে অপার সম্ভাবনা রয়েছে-এমন মন্তব্য করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা বলেছেন, ‘অবাধ বাজারসুবিধা (জিএসপি) নয়, বস্ত্রখাতে রানা প্লাজা বা তাজরীন কারখানার মতো দুর্ঘটনাই ইস্যু। ইস্যু হচ্ছে-কারখানা যেন আন্তর্জাতিকমানের হয় এবং শ্রমিকেরা যেন ন্যায্য অধিকার পায়।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘২০১১ সাল পর্যন্ত বস্ত্র কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের সংগঠন ছিল মাত্র একটি। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ১৫০টি। জিএসপি-সুবিধা প্রত্যাহারের ফলেই এটা নিশ্চিত হয়েছে। আমি দেখতে চাই, ‘ব্র্যান্ড বাংলাদেশ’ এক নম্বর ব্র্যান্ড হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ নয়। দরিদ্র কিছু লোক এখানে থাকতে পারে। ঈশ্বর বাংলাদেশকে সবকিছু দিয়েছেন। বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে শুরু করেছে।’

ড্যান মজিনা বলেন, ‘আমি ভেড়ামারা বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্র দেখেছি। কিভাবে ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ ঈশ্বরদী এবং খুলনায় যায়। আগামীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরবঙ্গ, ভুটান এমনকি চীন থেকেও এক শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব। আর বিদ্যুৎ আমদানি হলে বাংলাদেশ এশিয়ার ব্যাঘ্রশক্তিতে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, ‘এ দেশকে এশিয়ার বাঘে পরিণত করতে হলে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ দেশে গ্যাস আছে, কয়লা আছে। এখানকার কৃষি ও খনিজ সম্পদ নিয়ে কাজ করতে হবে।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলতে চাই। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র কয়েকশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। ওই বিনিয়োগ বাংলাদেশেও আসছে। তবে এ ক্ষেত্রে ভাবতে হবে, লাভ যেখানে বেশি হবে বিনিয়োগও সেখানে যাবে। বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য নিজেকে অন্য দেশের মতো তৈরি করতে হবে।’

এরআগে সকালে তিনি চৌড়হাস ভার্মি কম্পোষ্ট, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাউদহ কুঠিবাড়ি এবং বাউল সম্রাপ ফকির লালন শাহের মাজার পরিদর্শন করেন। তিনি বাউল শিল্পীদের লালন সঙ্গীত শোনেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার মফিজউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. তৌহিদুজ্জামান উপস্থিতি ছিলেন।

রাষ্ট্রদূতের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান মেরিনা ইয়াসমিন, কেলিনা ম্যাকানি, কালচারাল অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা বিলাল ফারুকী, কর্মকর্তা জেসন উইলিয়ামস, আবদুর রহমান ও লুবাইন মাসুম।



মন্তব্য চালু নেই