জামায়াত তোষণে ফেঁসে গেলেন এসআই

জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ আসামির ঠিকানা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে এজাহারভুক্ত আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে ফেঁসে গেলেন পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান।

বুধবার বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবির রাজ আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে এসআই হাবিবকে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।

বিচারক আদেশে বলেন, আসামিরা জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপকভাবে পরিচিত নেতা হওয়া সত্ত্বেও তাদের স্থায়ী ঠিকানা না পাওয়ার অজুহাত রহস্যজনক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিব যাদের ঠিকানা পাওয়া যায়নি মর্মে অব্যাহতি চেয়েছেন তারা হলেন- জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বুলবুল, দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রউফ ইউসুফী, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লা আমিন, ঢাকা মহানগর সভাপতি এনামুল হক নুর, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আবু জাফর কাশেমী, আমির শাহ আহম্মদ উল্লাহ আশরাফ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা শায়েখ আব্দুল মোমেন, সমমনা ১২ ইসলামী দলের সভাপতি মাওলানা আহম্মেদ আলী কাশেমী, নেজামে ইসলামী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাকিব, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব ড. খলিলুর রহমান মাদানী ও এনডিপি মহাসচিব আলমগীর মজুমদারসহ ১৪ আসামি।

২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুরের উদ্দেশ্যে এজাহারনামীয় আসামিরাসহ সহস্রাধিক আসামি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জমায়েত হয়। এসময় তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে যানবাহন ভাঙচুর করে এবং পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয় ও ককটেল নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনায় ৫৮ জন এজাহারনামীয়সহ অজ্ঞাতনামা হাজারেরও বেশি আসামির বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।

২০১৩ সালের ১৮ জুলাই মামলাটি তদন্ত করে পল্টন থানার এসআই হাবিবুর রহমান ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আসামিদের স্থায়ী ঠিকানা না পাওয়ার অজুহাতে ওই ১৪ নেতাকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেয়া হয়।

বুধবার মামলাটির চার্জ শুনানির সময় বিষয়টি আদালতের গোচরে এলে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করেন। তাকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই