জামায়াতের ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বাদ দিয়ে ইসির গেজেট

নির্বাচনী প্রতীকের তালিকা থেকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বাদ দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন করে এ গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে ইসি সচিব স্বাক্ষরিত গেজেটটি ইসিতে এসে পৌঁছেছে।

বুধবার (৮ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনী প্রতীকের তালিকা থেকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকটি বাদ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ হওয়ার পর থেকে প্রতীকটি নিয়েও আদালতের পর্যবেক্ষণ রয়েছে। এটা একটা ম্যান্ডেটরি বিষয়। এখন সে অনুসারেই এটার বাস্তবায়ন হবে।’

এর আগে কোনো রাজনৈতিক দলকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত আসে সুপ্রিম কোর্টের ‘ফুলকোর্ট’ সভায়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুলকোর্ট’ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রাম ‘দাঁড়িপাল্লা’ হওয়ায় ফুলকোর্ট সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত আসে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ইসির গেজেটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জন্য ৬৪টি প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখানে নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙ্গল প্রতীক থাকলেও দাঁড়িপাল্লা বাদ দেয়া হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে আদালত এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন। জামায়াত রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল করে। ওই সময় নির্বাচন কমিশনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসীন রশিদ বলেন, আদালত রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেছেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হলো। ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক নিয়ে এ দলের আর কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।



মন্তব্য চালু নেই