জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আদালত অবমাননায় জরিমানার টাকা নির্ধারিত সময়ে জমা না দেওয়ায় এ পরোয়ানা জারি করা হয়।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ পরোয়ানা জারি করেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সুপ্রীম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির অর্থদণ্ডের স্থগিতাদেশের অনুলিপি ট্রাইব্যুনালে পৌঁছায়নি। যদি জাফরুল্লাহ চৌধুরী ওই আদেশের কপি দেখাতে পারেন তাহলে এ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট স্থগিত হয়ে যাবে। অন্যথায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারবে।
আদালত অবমাননার দায়ে ১০ জুন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এজলাসে আসামির কাঠগড়ায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার দণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-২। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার ওই টাকা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে জাফরুল্লাহ রায় প্রত্যাখ্যান করে সুপ্রীম কোর্টে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ জুন সুপ্রীম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ৫ জুলাই পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করেন।
আদালত অবমাননার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত নিউ এজ পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ জানিয়ে দেশের ৫০ নাগরিক গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর প্রথম আলোয় বিবৃতি দেন।
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির পরে বিবৃতি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন। ১৪ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল ৪৯ বিবৃতিদাতার কাছে তাদের বিবৃতির বিষয়ে ব্যাখ্যা চান। পরে বিবৃতির জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় ২৬ বিবৃতিদাতাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি ২৩ জনের বিরুদ্ধে ১ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।
১০ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ জাফরুল্লাহকে আদালত অবমাননার দায়ে দণ্ড দেন ও অভিযোগ থাকা অন্য ২২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন।
মন্তব্য চালু নেই