বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী তিনি। ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ হয়ে তিনি বিশ্বের বুকে ভারতকে তুলে ধরেছেন আরো একবার। বলিউডের এক সময়ের টর্দা কাঁপানো অভিনেত্রী তিনি। বিখ্যাত প্রসাধনী ব্রান্ড লোরিয়েলের ব্রান্ড এম্বাসেডর তিনি। ঐশ্বরিয়া রাইকে এরকম অনেক পরিচয়ের সঙ্গে পরিচিত তার দর্শক-ভক্তরা।

জীবনে বেশ কয়েকবার প্রেমে পড়েছেন তিনি। সবাইকে ছেড়ে শেষ পর্যন্ত অভিষেকের বুকে মাথা রাখেন তিনি।

নিরোশান দিভাপ্রিয়া

তার প্রথম প্রেমিক পুরুষের নাম নিরোশান দিভাপ্রিয়া। নিরোশান শ্রীলংকার নাগরিক। হিন্দুস্থান টাইমসের রিপোর্ট জানিয়েছে, অভিষেককে বিয়ের পর ঐশ্বরিয়ার বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও এনেছিলেন নিরোশান।

রাজীব মুলচান্দানি

মডেল রাজীব মুলচান্দানির সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল ঐশ্বরিয়ার। রাজীবের সঙ্গে দু’টি ফটোশুটেও অংশ নেন এ্যাশ। এক সময় তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু, রাজীব মুলচান্দানিকে পছন্দ করতেন বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালাও।

এই রাজীব মুলচান্দানির দখল নিয়ে দুই অভিনেত্রীর মধ্যে বেশ লড়াই হয়েছে বলেও দাবি করেন রাজীব। শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক আর টেকেনি। আর রাজীবের এসব গল্প এখন গুজবের মতোই মনে হয় সবার কাছে।

সালমান খান

সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ছবির সেটেই সালমানের সঙ্গে প্রেমে জড়ান ঐশ্বরিয়া। সালমান-ঐশ্বরিয়ার প্রেম কাহিনী বলিউডের বিখ্যাত প্রেম কাহিনীর একটি। ১৯৯৯-২০০১ সাল পর্যন্ত তারা চুটিয়ে প্রেম করেছেন। ২০০১ সালের মার্চে তাদের সম্পর্কের ইতি রচিত হয়। এ প্রসঙ্গে ঐশ্বরিয়া বলেন, “সালমানকে আমার বাবা-মা কখনোই পছন্দ করতেন না।

আমাদের সম্পর্ক ভাঙার পরে সালমান আমাকে কল করে অনেক নোংরা কথা বলতেন। আমার কো-আর্টিস্টদের দিয়ে আমাকে বিশ্রী কথা বলতেন। একদিন আমি শাহরুখ খান এবং অভিষেকের সঙ্গে একটি ছবির শুটিং করছিলাম। এমন সময় সালমান আমকে ডাকেন। ওই ডাকে সাড়া দিয়ে দেখা করতে গেলে তিনি আমাকে মারধরও করেন। ভাগ্যস আমার শরীরে সেদিন কোনো দাগ পড়েনি। সেখান তেখে আমি আবার ছবির সেটে ফিরে আসি এবং কাউকেই বুঝতে দেইনা যে আজ অঅমার জীবনে কি ঘটেছে।

বিবেক ওবেরয়

সালমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ঐশ্বরিয়া। ‘কিউ! হো গ্যায়া না’-ছবিতে কাজ করতে গিয়ে দু’জনের মধ্যে ভালবাসার সৃষ্টি হয়। ঐশ্বরিয়ার ৩০তম জন্মদিনে বিবেক ৩০ টি উপহার দেন ঐশ্বরিয়াকে।

মিডিয়াতে এক সাক্ষাৎকারে বিবেক স্বীকার করেন যে, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তার প্রেম চলছে। ব্যাস, সালমানের সাক্ষাৎ শত্রুতে পরিনত হন তিনি। বিভিন্ন যায়গায় বিভিন্নভাবে বিবেককে নাজেহাল করেন সালমান। আর মিডিয়ায় স্বীকার করায় বিবেকের উপর চরম ক্ষেপে যান ঐশ্বরিয়াও। আর সেখান থেকেই দু’জনের বিচ্ছেদ রচিত হয়।

অভিষেক বচ্চন

বিয়ের আগে ঐশ্বরিয়ার শেষ প্রেম ছিল বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের ছেলে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে। এই প্রেমটি শেষ পর্যন্ত বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় কারণ, সম্ভ্রান্ত বচ্চন পরিবারের বউ হতে কেনা চায়, তাই না?

যদিও অমিতাভের ৬০তম জন্মদিনে অভিষেকের সঙ্গে অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল তবুও সে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। জেপি দত্তের ‘উমরাও জান’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে অভিষেকের সঙ্গে প্রণয়র সম্পর্কে জড়ান ঐশ্বরিয়া।