জনি হত্যা: তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিচার শুরু

থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে ইশতিয়াক হোসেন ওরফে জনি নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে পল্লবী থানার তিন পুলিশ ও দুই সোর্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মাধ্যমে মামলাটিতে তাদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হলো।

আজ রবিবার বিকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত এই অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৬ মে দিন ধার্য করেন।

অভিযুক্তরা হলেন পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১১নং সেক্টরে স্থানীয় সাদেকের ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন অনুষ্ঠানে মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় জনি ও তার ভাই পুলিশের সোর্স সুমনকে চলে যেতে বলেন। সুমন চলে গেলেও পরদিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকে। তখন জনি ও তার ভাই তাকে চলে যেতে বললে সুমন পু্লিশকে ফোন করে তাদের ধরে নিয়ে যায়। তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন ধাওয়া দিলে পুলিশ গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায়।

পরে তাদের থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। জনির অবস্থা খারাপ হলে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরও খারাপ হলে জনির মা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন পাঁচজনকে অভিযুক্ত এবং পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকালে পুলিশের এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই