জনবল সংকটে চালু হচ্ছেনা রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ॥ সেবা ব্যাহত
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৯৮৪ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসক ও ওষুধ সংকটের কারণে রোগীরা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হলেও বর্তমানে চিকিৎসক সংকট নেই। যেসব চিকিৎসক আছেন তারা রোগীদের যথারীতি চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন চালু না করায় রোগীদের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু মাঝে মধ্যে ওষুধ সংকটের কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করতে হিমশিম খায়। সরকারি ভাবে যে পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। আন্তঃবিভাগ রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেক রোগীকে হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। শয্যা সংকট নিরসনে ৩১ শয্যার পরিবর্তে উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যায় উন্নতী করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর ২০১০ সালে বিশাল ভবন নিমার্ণ করে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনী জনবল সংকটে ও সরঞ্জামের কারনে এবং রোগীদের খাদ্য সরবরাহের অনুমোদন না থাকাই এই ভবনের কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। ফলে আন্তঃবিভাগ রোগীদের দূর্ভোগ থেকেই যাচ্ছে। ওষুধ সংকটের কারণে রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনে চিকিৎসা করাতে হয়। এতে গরিব রোগীরা ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে হিমশিম খায়। উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন অপরেশন থিয়েটার নেই। একটি মাত্র পুরাতন এক্সরে মেশিন রয়েছে। তাও অনেক সময় বিকল হয়ে যাওয়ায় এবং ফ্লিম, কেমিক্যাল সরবরাহ না থাকাই রোগীদের বাধ্য হয়ে নওগাঁ জেলা সদরে সরকারি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হয়।
জনগণের চিকিৎসার স্বার্থে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম এমপি ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে এই এক্সরে মেশিন সচল রাখা হয়েছে। জরুরি রোগী বহনে এই হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্স ছিল। তাও অনেক আগেই বিআরটিএ কর্তৃক পরিত্যাক্ত ঘোষনা করায় জনসেবার স্বার্থে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা হাসপাতাল থেকে লোক্কড় ঝক্কড় একটি এ্যাম্বুলেন্স এনে রাণীনগর হাসপাতালের জরুরি রোগীগুলো কোন মতে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রোগীর অভিভাবকরা এ্যাম্বুলেন্সটি দূরে কোথাও নিতে চাইলেও দেওয়া সম্ভব হয় না। হাসপাতালের ভিতরে বড় মাপের স্টোর রুম না থাকাই নতুন ভবনের আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী অপরেশন থিয়েটার সহ যত্রতত্র মালসামানা ফেলে রাখতে হয়।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার এসএম নজমুল আহসান জানান, চিকিৎসক মনজুরীকৃত পদ অনুযায়ী থাকলেও কিছু তৃতীয় শ্রেণী ও ওর্য়াড বয় সহ কিছু অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। তবে রাণীনগরবাসীর মানসম্পন্ন চিকিৎসা দিতে আমাদের পেশাদারিত্বের কোন ঘাটতি নেই। সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই