জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ফেসবুক

ইউরোপে এমন একজন ব্যক্তি পাওয়া দুষ্কর যার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। অথচ সেই ইউরোপেই ফেসবুকের বিদায় ঘণ্টা বাজলো বলে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্লুমবার্গ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের কিশোর কিশোরীদের মাঝে ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ফেসবুক। আর ফেসবুকের বদলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে টুইটার এবং মোবাইল মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন স্ন্যাপশট।

রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মাঝে ফেসবুক ব্যবহারের হার কমেছে। ২০১২ সালে এই ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৯৫ শতাংশ, ২০১৩ সালে ছিল ৯৪ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছরে তা এসে দাড়ায় ৮৪ শতাংশে। সেখানে গত বছরের তুলনায় কিশোর কিশোরীদের মাঝে টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের হার বেড়েছে প্রায় ৪৮ শতাংশ।

তারপরেও ফেসবুক এখনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর শীর্ষে। পূর্ণবয়স্ক এবং তরুনরাই মূলত ফেসবুকের মূল ব্যবহারকারী। ৫৫ শতাংশ ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীর অধিকাংশই বয়সে তরুন। পাশাপাশি ৩৭ বছরের অধিক বয়সীরাও ফেসবুক ব্যবহার করেন। এদিকে স্ন্যাপশট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮৬ শতাংশ এবং কিক ব্যবহার করে ৮৩ শতাংশ মানুষ।

ব্লুমবার্গের এই রিপোর্ট নিয়ে এখন পর্যন্ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মুখ খোলেননি। তবে গত বছর ফেসবুক এক রিপোর্টে জানিয়েছিল যে তাদের কিশোর-কিশোরী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে। গত অক্টোবর মাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল ইন্সটাগ্রাম এবং টুইটার। পাশাপাশি গত বছর যুক্তরাজ্যের অপর একটি সংস্থা এক রিপোর্টে জানায়, যুক্তরাজ্যের তরুনরা ফেসবুক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। কারণ তারা নিজেদের যোগাযোগমাধ্যমে ফিরে আসতে শুরু করেছে।

এবিষয়ে ব্রিটিশ গবেষক মিলার জানান, ‘যুক্তরাজ্যের তরুন তরুনীরা ফেসবুককে আর বিশ্বাস করতে পারছে না। কারণ যুক্তরাজ্যের সমাজ আর যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ এক নয়। যুক্তরাজ্যের পিতা-মাতারা এখনও তাদের সন্তানদের ব্যাপারে যথেষ্ট রক্ষনশীল এবং তাদের সন্তানরা কোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সেদিকে তারা নজর রাখে। আর গোটা বিশ্বে যখন ফেসবুক নিয়ে ক্ষুদ্র হলেও বিতর্ক শুরু হয়েছে তখন যুক্তরাজ্যের পিতা-মাতারা তাদের সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত। তবে তারা নিজেদের তৈরি সামাজিকমাধ্যমকেই এগিয়ে রাখতে চাচ্ছেন নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষায়।’



মন্তব্য চালু নেই