জনগণই দুর্যোগ মোকাবেলায় বড় শক্তি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৪ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জীবনব্যাপী সক্ষমতা’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও জানমাল এবং পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণই হবে দুর্যোগ মোকাবেলায় সবচেয়ে বড় শক্তি। তাই আমি দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাই।’
দুর্যোগ মোকাবেলায় বর্তমান সরকার গৃহীত কার্যক্রমের ফলে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দেশ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, আমরা সার্ক এগ্রিমেন্ট অন রেপিড রেসপন্স টু ন্যাচারাল ডিজাস্টার’ চুক্তি সম্পাদন করেছি। দ্রুত সাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ওয়াসা, টিএন্ডটি, তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে কন্টিনজেন্সি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। ফায়ার ব্রিগেডসহ সংশ্লিষ্ট সবার সামর্থ্য বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা উপকূলীয় অঞ্চলে মাটির কেল্লা তৈরি করেন যা আজো ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত। এ সকল কিল্লা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় প্রাণিসম্পদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।’
দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রবীণদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমরা দুর্যোগ মোকাবেলায় জীবনব্যাপী সক্ষমতা অর্জন করতে পারি।



মন্তব্য চালু নেই