জনকণ্ঠকে রোববারের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ
আদালত অবমাননামূলক নিবন্ধ প্রকাশ করায় দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে আগামী রোববারের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।
জবাব দাখিল করতে জনকণ্ঠের পক্ষে তিন মাসের সময় আবেদন করেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন।
জনকণ্ঠের সময় আবেদনের শুনানি করে আদালত আগামী রোববার পর্যন্ত সময় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।
এর আগে ২৯ জুলাই সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় ঘোষণার আজ ৩ আগষ্ট তাদেরকে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৬ জুলাই `সাকার পরিবারের তৎপরতা ॥ পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে দৈনিক জনকণ্ঠ। যার লেখক পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।
জনকণ্ঠের ওই নিবন্ধের এক অংশে বলা হয়, ‘৭১-এর অন্যতম নৃশংস খুনী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। নিষ্পাপ বাঙালী রক্তে যে গাদ্দারগুলো সব থেকে বেশি হোলি খেলেছিল এই সাকা তাদের একজন। এই যুদ্ধাপরাধীর আপীল বিভাগের রায় ২৯ জুলাই। পিতা মুজিব! তোমার কন্যাকে এখানেও ক্রশে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তাই যদি না হয়, তাহলে কিভাবে যারা বিচার করছেন সেই বিচারকদের একজনের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা? তারা কোন পথে বিচারকের কাছে ঢোকে, আইএসআই ও উলফা পথে না অন্য পথে? ভিকটিমের পরিবারের লোকদেরকে কি কখনও কোন বিচারপতি সাক্ষাত দেয়। বিচারকের এথিকসে পড়ে! কেন শেখ হাসিনার সরকারকে কোন কোন বিচারপতির এ মুহূর্তের বিদেশ সফর ঠেকাতে ব্যস্ত হতে হয়। যে সফরের উদ্যোক্তা জামায়াত-বিএনপির অর্গানাইজেশান। কেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী আগে গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। কী ঘটতে যাচ্ছে সেখানে। ক্যামেরনই পরোক্ষভাবে বলছেন সকল সন্ত্রাসীর একটি অভয়ারণ্য হয়েছে লন্ডন।’
সাকা চৌধুরীর রায়ের পরে আজ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিচার বিভাগ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক জনকণ্ঠে। যাতে বিচার বিভাগ সম্পর্কে কুৎসা রটনামূলক লেখা হয়েছে। এটা আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। এ কারণে আদালত তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে সুয়োমোটো রুল জারি করেন।
মন্তব্য চালু নেই