‘জঙ্গি হামলা মোকাবেলায় পুলিশদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে’
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, বড় ধরনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলার জন্য পুলিশ সদস্যদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ (ট্রেনিং) দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষনের ফলে পুলিশ কমান্ডোরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের যে কোন অপতৎপরতা রোধ করতে সক্ষম হবে। তাদের বিশেষ সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। আজ শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়িতে এপিবিএন স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশ কমান্ডো কোর্স (পিসিসি-১) এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করে আইজিপি বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি বিভাগে অন্তত ১টি করে কমান্ডো প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত টীম রাখা হবে। তিনি আরও বলেন, যে কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
শহীদুল হক বলেন, সাম্প্রতিক গুলশানের হলি আর্টিজান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলাসহ দেলের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে পুলিশ বাহিনীর সামর্থ বৃদ্ধির জন্য অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামসহ সব ধরনের ‘লজিস্টিক সাপোর্ট’ দিয়ে পুলিশের কমান্ডো ফোর্সকে সুসজ্জিত করা হবে। যাতে তারা যে কোনো সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা কমান্ডো ট্রেনিংয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত এফবিআইসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএমপির বিশেষায়িত কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, সোয়াতসহ সেনাবাহিনীতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৭ জন প্রশিক্ষক এ কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেবেন।
উল্লেখ্য, এটিই হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশে কমান্ডো ফোর্স তৈরির প্রথম কার্যক্রম। এর আগে কঠোর প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে সাধারণত সশস্ত্র বাহিনীতে কমান্ডো বা প্যারাকমান্ডো তৈরি করা হতো। প্রথম দফায় ৮ সপ্তাহব্যাপী এ প্রশিক্ষণে কনস্টেবল থেকে এএসপি পদমর্যাদার মোট ৪৪ জন অংশ নিচ্ছেন।
মন্তব্য চালু নেই