জঙ্গিরা কোনো না কোনো সময় শিবির করতো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতায় জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীরা জড়িত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, বলেন, ‘জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের প্রায় সবাই শিবির করতো। পরে একেক সময় এরা একেক নামে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে।’

জাতীয় শোক দিবসে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধু দর্শনে মৌলবাদী সন্ত্রাস নির্মূল বিষয়ে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ধানমন্ডির বিলিয়া মিলনায়তনে।

২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর‌্যন্ত প্রায় চার হাজার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব জঙ্গিরা প্রথমে শিবির করতো, পরে তারা বিভিন্ন নামে আত্মপ্রকাশ করে।’

গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশে বেছে বেছে হত্যা বা টার্গেট কিলিং শুরু হয়েছে। আর গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা দেশে জঙ্গি তৎপরতায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এত নৃশংসতা এর আগে কখনও জঙ্গিরা দেখায়নি। এই হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিবিরোধী অভিযান জোরদার করে এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন নারী-পুরুষকে আটক করেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এ দেশের বিরোধিতা আর এখনকার জঙ্গি তৎপরতা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনায় নয়। সবই একই সূত্রে গাঁথা।’ তিনি বলেন, ‘যখন থেকে তিনি (শেখ হাসিনা) মানবতাবিরোধীদের বিচার শুরু করেছেন তখন থেকেই জঙ্গিরা তৎপর হয়ে উঠছে। আগুন সন্ত্রাস করে ১৯ পুলিশসহ ১৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে ষড়যন্ত্রকারীরা। এখন তারাই একেক সময় একেক নামে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে।’

সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাবেক সেনা প্রধান হারুন অর রশিদ প্রমুখ। তারা স্বাধীনতাবিরেধী জামায়াতের রাজনীতি অবিলম্বে নিষিদ্ধ এবং তাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাজেয়াপ্তের দাবি জানান।



মন্তব্য চালু নেই