জঙ্গিদের টার্গেট আগামী নির্বাচন, মদদ দিচ্ছে বিদেশিরা
জঙ্গি হামলার মধ্য দিয়ে একটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র ২০১৯ সালের নির্বাচনকে টার্গেট করতে চায় বলে মনে করছে সরকার। সরকারের দায়িত্বশীলরা মনে করছেন জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে না পারলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ ইস্যুটি বিরোধীদের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। এদিকে বারবার র্যাব-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের পরও নানা কৌশলে জঙ্গিদের নতুন নতুন আক্রমণ ও আস্তানা গড়ে তোলায় সরকারের নীতি র্নিধারকরা চিন্তিতও।খবর পরিবর্তনের।
এছাড়া, সাম্প্রতিককালে জঙ্গিদের একাধিক আত্মঘাতী হামলা, নতুন বিস্ফোরক ব্যবহার এবং তাদের হাতে বড় মাত্রার বিস্ফোরক থাকায় চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
সরকারের ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী, সরকারি দলের নীতি নির্ধারক এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন মনোভাব জানা গেছে।
সরকারের দায়িত্বশীলরা বলছেন, তারা যে কোনোভাবেই হোক এবারের জঙ্গিবিরোধী অভিযানকে সফল করতে চান। অন্যদিকে সরকার-পুলিশের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে দেশে জঙ্গি হামলার সাথে ইসলামিক স্টেট বা আইএসের জড়িত থাকার দাবি সরাসরি নাকচ করা হয়েছে।
সরকারের একজন মন্ত্রী বলেন, যখন রাজধানীতে আত্মঘাতী হামলাগুলো র্যাবকে উদ্দেশ্য করে শুরু হয় তথনই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে জঙ্গিরা র্যাবের ওপর একটি সফল হামলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। সিলেট অভিযানের সময় র্যাবের গোয়েন্দা প্রধানও বোমা হামলায় আহত হওয়ার কয়েকদিন পর মারা যান। এই পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশক্তি দিয়ে জঙ্গি দমনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে সরকার।
এ সম্পর্কে সরকারি দলের অন্যতম নীতি র্নিধারক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জঙ্গি তো শুধু আমাদের সমস্যা না, এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল অনেকগুলো। তার অভিযোগ, জামায়াত সরাসরি একটি মৌলবাদী দল, তাদের সাথে বিএনপির যোগাযোগ রয়েছে। তারা একে অপরের সম্পূরক।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, ২০১৩ নির্বাচন বানচালের জন্য সন্ত্রাসের পথ পথ বেছে নিয়েছিল জামায়াত-বিএনপি। জনগণের সর্বাত্মক চেষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা এবং আমাদের রাজনৈতিক কৌশলে তা সম্ভব হয়নি। এখন তাদের আগের সে পথটাও ২০১৯ এর নির্বাচন সামনে রেখে খোলা রাখছে বলেও অভিযোগ ড. রাজ্জাকের।
তিনি বলেন, এবারও সে চেষ্টা কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করছে জাতি।
আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে বলেন, এখানে পাকিস্তানের একটা ভূমিকা আছে। তারা (পাকিস্তান) আইএসের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। জঙ্গিরা পাকিস্তানের সহযোগিতা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘একই সাথে পাকিস্তান জামায়াত-বিএনপিরও একটা বড় হাতিয়ার।’
সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আইএস না, একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত রয়েছে ২০১৯ নির্বাচনকে টার্গেট করে।’
মন্তব্য চালু নেই