জঙ্গিদের জন্য খালেদার এত মায়া কেন : শেখ হাসিনা

পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহতদের নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কেন প্রশ্ন তুলছেন সেটা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘মৃত জঙ্গিদের জন্য খালেদা জিয়া এত মায়াকান্না করছেন কেন?’

মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠকের বক্তৃতায় তিনি এ প্রশ্ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মানুষের উপর অত্যাচার করছে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে তাদের বিচার করা হবে। তিনি বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়েছে এবং পুরস্কৃত করছে তারাই সবচেয়ে বড় রাজাকার।’ তাদের বিচারের দাবিতে জনগণকে স্বোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়ি এবং ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছেন ১২ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি। এদের মধ্যে সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত তামিম চৌধুরীও রয়েছেন। তবে দুটি অভিযান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন খালেদা জিয়া। বলেছেন, কেন তাদেরকে গুলি করে মারা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই প্রশ্ন তোলার পর এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর তাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

খালেদা জিয়া সেদিন বলেছিলেন, ‍পুলিশ কিছু মানুষকে ধরে রাখে। তারপর তাদের দাঁড়ি গজালে পুলিশ গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে জেএমবি বা হরকাতুল জিহাদ নামে পরিচয় করায়। এরপর তাদেরকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করে।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীও বিএনপি চেয়ারপারসনের এই বক্তব্য দেয়ার কারণ জানতে চান। খালেদা জিয়াই জঙ্গিদের মদদদাতা কি না সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শত অত্যাচার সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা দেশের গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। তারাই সবচেয়ে বড় শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের উন্নয়নের কাজ করছে।

সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছে দলটির এমন দাবির উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ফালতু মামলা দেয়ার সময় সরকারের নেই। তিনি বলেন, তারাই ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করছে। প্লেট চুরির মত হাস্যকর মামলাও দেয়া হয়েছিল।

জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির কার্যকর নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর হাওয়ায় জাতি অভিশাপমুক্ত হচ্ছে।

গত শনিবার জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এই সদস্যের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মীর কাসেম চট্টগ্রাম অঞ্চলে আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন। জামায়াতের আর্থিক খুঁটিও বলা হয় তাকে।



মন্তব্য চালু নেই