ছয় মাসের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কার্যঅধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদ আইন-২০০০ অনুযায়ী এই নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। বিদ্যমান এ আইনের ১৭(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র, কমিশনার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কমিশনার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়ে নির্বাচকমণ্ডলী গঠিত হবে।

১৭(২) ধারায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত একটি ভোটার তালিকা থাকবে।’ ১৭(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য নন এমন কোনো ব্যক্তি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।’ আইনের এ ধারা অনুযায়ী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের ভোটদানের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জেলা পরিষদ নির্বাচনের পর একটি পূর্ণাঙ্গ পরিষদ গঠন করা হবে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ১৫ জন সদস্য এবং সংরক্ষিত পাঁচজন নারী সদস্যও নির্বাচন করা হবে।

সম্প্রতি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠানের জন্য সংশোধিত আইন অনুমোদন করা হয়। এ সময় জেলা পরিষদেও একই ব্যবস্থা চালুর জন্য আইন সংশোধন করা হয়। তবে তা এখনো অনুমোদন করেনি মন্ত্রিসভা। গত ২৮ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটি সংশোধন না হওয়ার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। ওই বৈঠকে জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়েও ইতিবাচক মত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরই স্থানীয় সরকার বিভাগ এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে।



মন্তব্য চালু নেই