ছারপোকার হাত থেকে যাত্রীদের রক্ষা করুন

দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন যাত্রীবাহী ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরকে ছারপোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মাধ্যমে এসব ছারপোকা মানুষের বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতে বিস্তার ঘটাচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।

বৃহস্পতিবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি ও অভিযোগ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের অন্যতম বিলাসবহুল ট্রেন সূবর্ণা এক্সপ্রেসসহ তুর্ণানিশিতা, মহানগর গোধূলী, মহানগর প্রভাতি, চিটাগাং মেইল, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, নীল সাগর, ধুমকেতু এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, মৈত্রী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, করতোয়া এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেস, সিমান্ত এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, পাহাড়ীকা এক্সপ্রেস, উদয়ন এক্সপ্রেস, অগ্নবীনা এক্সপ্রেস, এগারসিন্দুর, উপবন এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, সুরমা মেইল, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, নোয়াখালী এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার, কুশিয়ারা এক্সপ্রেস, জালালাবাদ এক্সপ্রেস, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, বলাকা কমিউটার, জামালপুর কমিউটার, চট্টলা এক্সপ্রেস, লাকসাম কমিউটার, তুরাগ এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাটল ট্রেন, নারায়ণগঞ্জ লোকাল, সাগরিকা এক্সপ্রেস, সুরমা মেইলসহ বিভিন্ন আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনগুলোর নিয়মিত যাতায়াতকারী যাত্রীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের বিভিন্ন জেলা কমিটির অনুসন্ধানে এসব তথ্য পায়।

এতে বলা হয়, দীর্ঘ দিন ধরে রেলের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যাত্রীদের যোগাযোগের সুযোগ না থাকায়, রেলওয়ে যাত্রী সেবা মনিটরিংয়ের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে সংগঠনের মনিটরিং টিমের সদস্যদের কাছে সাধারণ রেল যাত্রীরা অভিযোগ করেছে।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালে রেলের ভাড়া ৫০ ভাগের অধিক বৃদ্ধির সময় সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল থেকে যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর জন্য অঙ্গিকার করা হলেও ভাড়া বৃদ্ধির পর যাত্রী সেবার মান ক্রমাবনতি হয়েছে। বেশিরভাগ ট্রেনে বিদ্যুৎ, পানি, পরিষ্কার-পরিছন্নতার বালাই নেই, অধিকাংশ আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনে বাথরুম ব্যবহারের অনুপযোগী।

বেশির ভাগ লোকাল ট্রেনে দরজা জানালা নেই। তারপরও প্রতিটি ট্রেনে ধারণ ক্ষমতার দিগুণ-তিনগুণ যাত্রীর আসনবিহীন টিকিট বিক্রি করা হয় বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যাত্রীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে লিপ্ত থাকে। যাত্রীসেবা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে যাত্রীরা জানতে চাইলে দায়িতপ্রাপ্তরা কোনো প্রকার সদোত্তর দেয় না। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীসেবার মান দিন দিন শূন্যের কোঠায় পৌঁছাচ্ছে বলে যাত্রীকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।

তাই এ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ছারপোকার আক্রমণ থেকে যাত্রী সাধারণকে রক্ষা করা ও যাত্রী সেবার মানোন্নয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই