চুরি করার কথিত অভিযোগে সাতক্ষীরায় কিশোরকে নির্যাতন

চুরি করার কথিত অপরাধে নির্যাতিত কিশোর শেখ জাকারিয়া হোসেন (১৫) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। সে সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামের শেখ মনিরুল ইসলামের ছেলে। এদিকে থানায় মামলা করার কয়েকদিন পার হলেও কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তার বাবা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,দহকুলা গ্রামের শেখ সাহিদ হোসেন পাপ্পুর মুরগীর ফার্মে মাসিক দেড় হাজার টাকা বেতনে চাকরী করত জাকারিয়া। প্রায়শই জাকারিয়ার সাথে খারাপ ব্যাবহার করত বলে সম্প্রতি সে চাকরী ছেড়ে যায়। পাপ্পুও প্রতিশোধের উপায় খুজতে থাকে। গত বুধবার রাত নয়টার দিকে পাপ্পু,তার ভাই রিংকু ও ওই এলাকার ফিজু ফার্মের মটর চুরীর মিথ্যা অভিযোগে দহকুলা মোড় থেকে জাকারিয়াকে ধরে নিয়ে ঘুড্ডীর বিলে নিয়ে যায়। সেখানে তারা জাকারিয়াকে হাতুরী ও রড দিয়ে বেধড়ক পেটায় । হাতুড়ী পেটায় বাম হাতের ৫টি আঙ্গুলই থেতলে যায় জাকারিয়ার। বাহু ও শরীরের সর্বাঙ্গে পেটালে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকলে তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
শেষ রাতের কোন এক সময়ে জাকারিয়ার জ্ঞান ফেরে। এদিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুজতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ওই এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা। ওই দিন সকালেই তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এঘটনায় জাকারিয়ার পিতা মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নং-৩৭৮।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি ইমদাদ শেখ জানান,আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।



মন্তব্য চালু নেই