চিতায় জেগে উঠলেন মৃত নারী!

ভারতে এক প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৫৯ বছরের এক নারী। শোকার্ত স্বজনরা মৃতদেহ সৎকারের আয়োজন করেন। যথারীতি তাকে চিতায় তোলার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় হঠাৎ একজন লক্ষ্য করেন, শ্বাস নিচ্ছেন ওই নারী। এমনকি তার নাড়ির স্পন্দনও টের পাওয়া যাচ্ছে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটক রাজ্যের মহীশুর শহরের নিকটবর্তী আগ্রাহারা এলাকায়। এখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ী মেহেন্দ্র লোদার পত্নী পদ্মাবাই। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জননী। গত রোববার হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পদ্মাবাই। সঙ্গে সঙ্গে তাকে একটি বেসরকারি বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন। এ কথা শোনার পর পরিবারের লোকজন ওই নারীর মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। তারা এক স্থানীয় পত্রিকায় মৃত্যুর খবর প্রচার করে একটি বিজ্ঞাপণও দিয়েছিল।

কিন্তু চিতায় তোলার পর দেখা যায়, তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও নাড়ি চলছে। তখন তারা দ্রুত পদ্মাবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার পর ওই বেসকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা আরো বলেন, ‘আমরা তো একটু ভালো চিকিৎসার জন্যই রোগীদের বেসকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। এজন্য অতিরিক্ত অর্থও ব্যয় করি। কিন্তু তারা যে জীবিত মানুষকে মৃত বলে ঘোষণা দেবে এতটা অজ্ঞতা তো মেনে নেয়া যায়না। অথচ আমাদের আবেগকে পুঁজি করেই চলছে এইসব নামি হাসপাতালগুলো।’

সরকারি বা বেসকারি কোনো কথা নয়, একজন জীবিত মানুষকে মৃত ঘোষণা করা কোনো চিকিৎসকেরই উচিত নয়। কিন্তু অর্থের পিছনে ছুটতে থাকা চিকিৎসকদের হাতে সময় এখন অনেক কম। এজন্যই তো ভালোভাবে পরীক্ষা না করেই একজন জীবিত মানুষকে তারা মৃত বলে উল্লেখ করার মত অপরাধ করেছে। একবার ভাবুন তো,পদ্মাবাইকে চিতায় জ্বালিয়ে দিলে কি হত! এতদিনে হয়ত ছাই হয়ে মিশে যেত পবিত্র গঙ্গার জলে।



মন্তব্য চালু নেই