চাটমোহরে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক এটিও কে হুমকী

পাবনার চাটমোহর উপজেলার সোহাগবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (নব্য জাতীয় করন) প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন কতৃক সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের পরিদর্শনকারী অফিসারকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকী প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাটমোহরে কর্মরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জহুরুল ইসলাম কতৃক ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ৩ তারিখে স্বাক্ষরিত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মার্চ ২০১৫ তারিখে এবং ২২ জানুয়ারী ২০১৫ তারিখে মোঃ জহুরুল ইসলাম বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত পান।

তার অবস্থান জানার জন্য তাকে ফোন করলে তিনি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অশালীন ভাবে যা পারেন করেন, “কী করবেন” ইত্যাদি বলেন এবং অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন। তর্কে লিপ্ত হন এবং তিনি আন্ডার গ্রাউন্ডের সদস্য বলে হুমকী দেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, ২ মার্চ আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলাম। একজনের নিকট বেতন উত্তোলনের জন্য চেক পাঠিয়েছিলাম। বেতনের টাকা আনার জন্য সাড়ে ৩ টার দিকে মুভমেন্ট রেজিষ্টারে লিখে আমি বিদ্যালয় ত্যাগ করি। আমি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে মোবাইলে কোন ধরনের হুমকি দেই নাই।

এ ব্যাপারে চাটমোহর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ইউসুফ আলী জানান, যতটুকু জেনেছি ফেব্রুয়ারী মাসের ৩ তারিখে অভিযোগের কপিতে স্বাক্ষর করেছেন সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার। ফেব্রুয়ারী মাসে উনি কিভাবে জানলেন মার্চ মাসের ২ তারিখে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন অনুপস্থিত ছিলেন। তার অভিযোগ ভিত্তিহীন মনে হয়। এ ব্যাপারে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, মুভমেন্ট রেজিষ্টারে লিখে আসলেও আমাকে অবহিত করতে হবে। উনি আমাকে অবহিত করেননি।

এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার সামসুদ্দিন জানান, আমি সবে মাত্র চাটমোহরে জয়েন করেছি। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব। তবে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার জহুরুল ইসলাম নিজেই অফিসে মাঝে মধ্যে অনুপস্থিত থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই