চাটমোহর, (পাবনা)এর কিছু খবর :

চাটমোহরে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই

বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে একুশের চেতনায় উজ্জীবিত ও ভাষা শহীদদের মূল্যায়নে উদাসীন রয়েছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার মাদ্রাসাসহ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলা অধিকাংশ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্মাণ করা হয়নি শহীদ মিনার।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বার বার তাগিদ দেয়ার কথা বললেও অর্থ সংকটকে দায়ী করছে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। বাংলা ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে বর্তমান প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপণ বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে দাবী করেছেন ভাষা সৈনিক পরিবারের সদস্যরা।

সূত্র মতে, উপজেলায় মাধ্যমিক স্কুল ৪২টি, মাদ্রাসা ৩৯টি, ৭টি কারিগরি ও ৭টি কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৫৫টি ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলেও মাদ্রাসাসহ অর্ধেকরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজও নির্মাণ করা হয়নি শহীদ মিনার।

মাদ্রাসাগুলোতে শহীদ মিনার নেই বললেই চলে। এদিকে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভাষা আন্দোলতের ইতিহাসের ৬৩ বছরেও এসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভাষা সৈনিক পরিবারের সদস্যরা।

রামচন্দ্রপুর সিনিয়র আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, পরিকল্পনা রয়েছে কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। চাটমোহর ভাষা সৈনিক এ্যাড, গৌরচন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে বর্তমান প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপণ বাধ্যতামূলক করা উচিত।

চাটমোহর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। সে সকল প্রতিষ্ঠানে তাগিদ দেয়া হচ্ছে।

 

চাটমোহরে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামী এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি
পাবনার চাটমোহরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের এক সপ্তাহ পর উদ্ধার হওয়া ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামীদের দেড় মাস পার হলেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অপহরণ-ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা, আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে।

কিন্তু অভিযুক্ত আসামীরা রয়েছে এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। পুলিশের একই বক্তব্য, আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ বক্তব্যে মামলার বাদী ধর্ষিতার মা লেকজান বেগম অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মঈনুদ্দীন জানান, আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এখনো তা অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, পাবনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নুশরাত জাহান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় ধর্ষিতার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত মামলার বাদী মেয়েটির মা লেকজান বেগমের জিম্মায় দিয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের সেনগ্রাম মহাজের পাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে অষ্টমনিষা বালিকা উচচ বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে গত ১৫ ডিসেম্বর’১৪ সেনগ্রাম হিন্দুপাড়ার নির্মল সূত্রধরের ছেলে মিঠুন সূত্রধর, তার ২ সহযোগি চরসেনগ্রামের (বর্তমান রেলবাজার) সিরাজ হোসেনের ছেলে আলমগীর ও দোদারিয়া গ্রামের বিশা প্রামানিকের ছেলে লিটন অপহরণ করে। মেয়েটি ওই দিন তার মামার বাড়ি যাওয়ার পথে জাবরকোল ব্রীজের কাছে একটি সিএনজি অটোটেম্পু করে তাকে অপহৃত হয়। এরপর তাকে রেলবাজার এলাকায় আলমগীরের বাড়িতে আটকে রেখে মিঠুন প্রতি রাতেই তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

অপহরণ ও আটকে রেখে ধর্ষনের এক সপ্তাহ পর ২৯ ডিসেম্বর মেয়েটিকে শাহনগর একটি ইটভাটার কাছে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয়রা মুমুর্ষ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা করে। হাসপাতালে ৩ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম গঠন করে মেয়েটির চিকিৎসা এবং ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। ঘটনার পর অপহৃতার মা লেকজান বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চাটমোহর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নং-১৬।

থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।

 

চাটমোহরে মাঠে নেই বিএনপি নেতা ও কর্মী
২০ দলীয় জোটের ডাকা অনিদিষ্টকালের অবরোধের মাঝেই বিএনপি ডাকা হরতাল পালিত হচ্ছে না পাবনার চাটমোহরে। তবে গ্রেফতার আতংকে মাঠে নেই বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। গ্রেফতার এড়াতে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন।

হরতালে চাটমোহর বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল¬ার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সব কিছুই স্বাভাবিক রয়েছে। মালবাহী ট্রাকও চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। চাটমোহর রেল স্টেশন থেকে ট্রেনগুলো ছেড়ে যাচ্ছে ও আসছে। তবে বিলম্ব হচ্ছে। দোকান-পাট সবই খোলা। হরতালের পক্ষে কেউ মাঠে নেই। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে গত শনিবার গভীর রাতে চাটমোহর পৌরসদরের কয়েকটি স্থানে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ৭জন নেতা-কর্মীকে আটক করে থানা পুলিশ। এরপর থেকে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় হরতাল মাঠে দেখা মিলছে না তাদের।

 

চাটমোহরে রহিমা খাতুনের ইন্তেকাল
পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজগার আলী প্রামানিকের স্ত্রী রহিমা খাতুন গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
তার নামাজে জানাযা এদিন বাদ আসর জেএমআর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ৬ মেয়ে, নানী-নাতনী, আত্মীয়-স্বজনসহ বহুগুনগাহী রেখে গেছেন।



মন্তব্য চালু নেই