চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াতে অর্থমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ন্যূনতম ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের নেতারা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুর দুটার দিকে সাধারণ ছাত্র পরিষদের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেনের নেতৃত্বে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে গিয়ে অর্থমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

এ সময় তারা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের নূন্যতম সময়সীমা ৩৫ করার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবির কথা জানান।

স্মারকলিপি দেয়ার পর সংগঠনের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন জানান, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে অনেকদিন থেকে আমরা আন্দোলন করছি। সেশনজটসহ নানা কারণে আমাদের লেখাপড়া শেষ হতে চাকরির বয়স প্রায় ফুরিয়ে যায়। মাস্টার্স শেষ করতে অনেকের ২৮-২৯ বছর লেগে যায়। যার ফলে সরকারি চাকরির মতো সোনার হরিণ পাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই বয়স বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে আমরা মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি সরকার আমাদের দাবির প্রতি সুবিবেচনা করবে।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া আরেকজন জানান, ‘সরকার অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছর করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬০ বছর করা হয়েছে। শিক্ষকদের ৬৫ বছর ও বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৭ বছর করা হয়েছে। অথচ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সেই ৩০ বছরই রাখা হয়েছে। এতে দিন দিন বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমরা বয়স বাড়ানোর দাবিতে এই স্মারকলিপি দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, একই দাবিতে অনেকদিন থেকে দেশব্যাপী আন্দোলন করে আসছিল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের নেতারা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে রাখে। গত ২৯ জানুয়ারি শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলত করা চাকরি প্রার্থীদের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

এরপর চাকরি প্রার্থীদের দাবির ব্যাপারটি নিয়ে জাতীয় সংসদের আলোচনা হয়। বেশ কয়েকজন সাংসদ বয়স বাড়ানোর ব্যাপারে তাদের মত দেন।

আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শাহবাগ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।।



মন্তব্য চালু নেই