চলতি বছরই ফোর-জি, মার্চ থেকে লাইসেন্স প্রক্রিয়া

চলতি বছরই দেশে চতুর্থ প্রজন্মের উচ্চগতির ফোর-জি ইন্টারনেট সুবিধা চালু করার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে লাইসেন্স বিষয়ক আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।

লাইসেন্স প্রক্রিয়া শেষ করার পর স্পেকট্রাম নিরপেক্ষতা (এমএনপি) নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে লাইসেন্স প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। প্রথমে লাইসেন্স প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হলে স্পেকট্রামের বিষয়টি প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার মাধ্যমে এমনিতেই সমাধান করা যাবে।

গত বছর নিলামের কথা থাকলেও কারিগরি জটিলতায় তা হয়নি। এবছর সেসব জটিলতা কাটিয়ে ওঠা গেছে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন: অপারেটরগুলো এখন একেক ধরনের সার্ভিস একেকটা ব্যান্ডের স্পেকট্রামে দেয়। ফোর-জি চালু হলে যেকোন সার্ভিস যেকোন স্পেক্ট্রামে দেয়া যাবে। যেমন থ্রিজি সার্ভিস ২১০০ ব্যান্ডে এবং টুজি ৯০০ ও ১৮০০ ব্যান্ডে।

‘ফোর-জি দেয়ার কথা ছিল ৭০০ ব্যান্ডে। কিন্তু এজন্য অনেক টাওয়ার লাগতো, শেয়ারিং এবং বিনিয়োগেরও ব্যাপার ছিলো। এখন স্পেকট্রাম নিরপেক্ষতা দেয়া হলে আর ব্যান্ড স্পেসিফিকেশন প্রয়োজন হবে না,’ বলে জানান তিনি।

সব কারিগরি ও আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে এ বছরই দেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক যাত্রা শুরু করবে বলে আশাবাদী বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

এর আগে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ফোর-জি চালুর প্রক্রিয়া দ্রুততর করার নির্দেশ দেয়া হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এক সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। যেকোন মূল্যে ২০১৭ সালের মধ্যেই ফোর-জি চালু করতে বলেন তিনি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিতিতে ওই সভাতেই স্পেকট্রাম নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।খবর চ্যানেল আই’র।



মন্তব্য চালু নেই