চরমপন্থার বিস্তার নাকচ করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে যেকোন ধরনের চরমপন্থার প্রভাবের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। তাই এখানে চরমপন্থা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।

দেশের গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো চরমপন্থীদের প্রভাব বানচাল করে দিতে খুবই সক্রিয় রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তার সরকার এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক রয়েছে।

ঢাকা সফররত ফ্রান্সের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী লরাঁ ফাবিউস এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার সোমবরা বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারী সামরিক এক নায়করা সংবিধানের অন্যতম মৌলিক নীতি ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসহ ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি পুনর্বহাল করে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা অনেক সমস্যা সমাধান করেছি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত সম্পর্কে ফ্রান্স ও জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার এ খাতের শ্রমিকদের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারী এবং বেসরকারি খাত যৌথভাবে দেশের ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিকের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের নীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তিনি আরো বলেন, পোশাক কারখানার মালিকরাও এব্যাপারে খুবই সতর্ক রয়েছে।

উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রশমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সকল আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের চমৎকার সাফল্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, এদেশের জনগণ আরো উন্নয়নে খুবই সক্রিয় রয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই