চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

নগরীর খুলশী মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ বসতির উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। নগরীর মতিঝর্ণা ও বাটালী হিল এলাকায় রবিবার দুপুর ১২টায় এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে তিনটি মোবাইল কোর্ট। উচ্ছেদ অভিযানের প্রথমদিন দুপুর দুইটা পর্যন্ত মতিঝর্ণা এলাকার বাদল বাবুর কলোনীতে ৬টি ও ৫ নম্বর গলিতে ১২টি বসতঘর উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। এর আগে, ৮ জুনের মধ্যে ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ ও মাইকিং করা হয়।

জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানান, নগরীতে ২৮টি পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১১টি পাহাড় থেকে ৬৬৫টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে।

পর্যায়ক্রমে অন্যান্য পাহাড়গুলোতেও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। সরেজমিন দেখা গেছে, রবিবার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট ঘরসমূহ হতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর খালি ঘরগুলো একে একে ভেঙে ফেলা হয়। যদিও বসতির লোকজন কোনো নোটিশ পায়নি বলে অভিযোগ করেন।

সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, খুলশী মতিঝর্ণা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতির উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদের পাশাপাশি সেখানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা সঙ্গে থেকে উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করছেন। প্রবল বর্ষণের ফলে যে কোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে প্রাণহানী হতে পারে— এমন আশঙ্কা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওই ভূমি কর্মকর্তা। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ভয়াবহ পাহাড়ধসে ১২৭ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে।



মন্তব্য চালু নেই