কয়েদির মৃত্যু

চট্টগ্রামে জেল সুপারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

জেলহাজতে জাকির হোসেন (৩০) নামে এক কয়েদির মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, জেলারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
রোববার জাকিরের ছোট ভাই ইয়াকুব কায়সার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মশিউর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। আদালত এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন জনান, জেলহাজতে পরষ্পরের যোগসাজশে নির্যাতনের মাধ্যমে জাকিরকে হত্যার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১, ২০৩, ২০৪/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলার এজাহারে আনা অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- সিনিয়র জেল সুপার মো. ছগীর মিয়া, জেলার নেছার আহমেদ মুকুল, কারা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, সুবেদার আনজু মিয়া ও হুমায়ন কবির, প্রধান কারারক্ষী মোহাম্মদ হোসেন ও আব্দুর রশিদ, কারারক্ষী মো.আলমগীর ও জিয়াবুল ইসলাম। একই মামলায় ঘটনার সময় দায়িত্বরত ডেপুটি জেলারসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন রাত ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম কারা হাসপাতালের তৃতীয় তলায় সিঁড়ির রেলিংয়ে জাকির হোসেন (৩০) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়। কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, জাকির গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। জাকির হোসেন কর্ণফুলী থানার একটি অপহরণ মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত। তার কয়েদি নম্বর ৮৩৮৫/এ।
তবে এরপর থেকেই তার পরিবার অভিযোগ জাকির আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তার পরিবারসহ এলাকাবাসী গত ৬ জুন রাতে আনোয়ারার সাংসদ ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী বাসার সামনে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দু’জন কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দু’জন প্রধান কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দু’জন সুবেদারকে স্ট্যান্ড রিলিজও করা হয়েছে।

এছাড়া ঘটনা তদন্তে ডিআইজি প্রিজন এবং জেল সুপার পৃথক দু’টি কমিটি গঠন করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই