ঘুমের সমস্যা সমাধানে ঢাকায় হচ্ছে ৩০টি স্লিপিং ল্যাব

ঘুমের সমস্যা সমাধানে ঢাকায় ৩০টি স্লিপিং ল্যাব চালু করতে যাচ্ছে ফিলিপস হেলথ কেয়ার। নাগরিক জীবনে বিভিন্ন কারণে মানুষের ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘুমের সমস্যা থেকে তৈরি হচ্ছে হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও মানসিক চাপের মতো সমস্যা। ওই ল্যাবে এসব সমস্যার সমাধান মিলবে। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বক্তব্য দেন জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী হোসেন, ল্যাবএইড হাসপাতালের ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন সরকার, স্কয়ার হাসপাতালের ডা. মোহাম্মদ মর্তুজা খায়ের ও ফিলিপস হেলথ কেয়ার সাউথ এশিয়ার হোম হেলথ কেয়ারের সিনিয়র পরিচালক বিদুর দৌল।
বিদুর দৌল বলেন, ঘুমের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি জরুরি। এটি একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। এর সঙ্গে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক প্রভৃতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অসচেতনতার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে নাকডাকাকে ঐতিহ্যগতভাবে তৃপ্তিদায়ক ঘুমের সহযোগী হিসেবে ভাবা হয়। অথচ নাকডাকা ঘুমবিষয়ক একটি রোগের লক্ষণ। তবে সুখবর হচ্ছে, ডাক্তারের সঙ্গে প্রাথমিক পরামর্শের পরই এই সমস্যাটি চিহ্নিত করা যায়।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, পাঁচ থেকে ৯ শতাংশ শহুরে নাগরিক নাকডাকা, দিনের বেলায় ঘুম ও স্থূলতা সমস্যায় ভুগছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে এটি এখনো চিহ্নিত করা হয় না। এটি শুধু জীবনমানকেই প্রভাবিত করে না, দীর্ঘ মেয়াদে এটি রোগীর সার্বিক স্বাস্থ্যের অবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত চার-পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে ঘুমের সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকায় ঘুম সমস্যার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিষয়ে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানিয়েছে ফিলিপস ইন্ডিয়া।
এ ছাড়া ফিলিপস ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঁচটি ঘুম ল্যাব প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ল্যাবএইড হাসপাতাল ও স্কয়ার হাসপাতাল। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে কমপক্ষে ৩০টি ঘুম ল্যাব প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে ফিলিপসের। এর মধ্যে ২০১৪ সালেই ১০টি ঘুম ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ইতিমধ্যে ফিলিপস উপমহাদেশে ২০০ ঘুম ল্যাব প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছে। এই ঘুম ল্যাবগুলো ডাক্তারদের সঠিক রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে। এ ক্ষেত্রে ফিলিপস প্রযুক্তি, সুযোগ-সুবিধা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
মন্তব্য চালু নেই