ঘরোয়া অনুষ্ঠানেও লাগবে পুলিশের অনুমতি

প্রতি বছরের মতো এবারও থার্টি ফার্স্ট নাইটে দেশের সব মদের বার বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি ওইদিন সন্ধ্যার পর উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না। এছাড়া ইনডোরে (ঘরোয়া) অনুষ্ঠান করার জন্যও পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের জানান।

সভায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক আবুল হোসেন, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, ময়মনসিংহ-১-এর সংসদ সদস্য জুয়েল আরেংসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অতি উৎসাহী যুবকরা আইনশৃঙ্খলা মানতে চায় না। এ কারণেই ওই রাতকে ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। কূটনৈতিক জোনে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। এছাড়া থার্টি ফার্স্টের দিন সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো আতশবাজিও ছোড়া যাবে না।’

এছাড়া বড়দিনের অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। সারাদেশে ৬২টি গির্জা রয়েছে। এগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। ঢাকায় মিরপুর, কাকরাইল ও তেজগাঁওয়ের বড় তিনটি গির্জায় বিশেষ নজর রাখা হবে। সেখানে সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে। অনুষ্ঠান স্বাচ্ছন্দ্য করতে সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই