গৃহবধূ তো ঠিকই করেছেন!

স্বামী থাকেন দেশের বাইরে। তাই একা একাই থাকতে হয় গৃহবধূকে। নিরাপত্তা নিয়েও ভাবতে হয় রাতদিন। কিন্তু গৃহবধূর একা থাকাটা সহ্য হয় না প্রতিবেশি শাহিনের (২৬)! সুযোগ পেলেই কুপ্রস্তাব দেয়া আর উত্যক্ত করা যে নিয়মে দাঁড়িয়ে যায়। মুখ বুঁজে আর কত সহ্য করা যায়। এর মধ্যেই শনিবার মধ্যরাতে ঘরের বেড়া কেটে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে পড়েন যুবক শাহিন। এরপর চেষ্টা চালান শ্লীলতাহানীর।

কী আর করা? প্রাণপণ নিজেকে রক্ষার চেষ্টা চালান গৃহবধূ। নিরুপায় হয়ে এক পর্যায়ে ঘরে থাকা হাসুয়া নিয়ে শাহিনকে কোপাতে থাকেন। পরে প্রতিবেশিরা টের পেয়ে এগিয়ে এলে রক্তাক্ত অবস্থায় যুবকটি পালিয়ে যান।

শনিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের হুদাপুটিয়া গ্রামে। পালিয়ে যাওয়া যুবক শাহিনুর রহমান শাহিন হুদাপুটিয়া গ্রামের মোক্কাদ্দেস মোল্যার ছেলে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।

এলাকাবাসী জানায়, হুদাপুটিয়া গ্রামের শাহিন তার পাশের বাড়ির প্রবাসী কামাল হোসেনের স্ত্রী মিতা বেগমকে অনেকদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিলেন। এ ব্যাপারে শাহিনের অভিভাবক, স্থানীয় মাতবরদের কয়েক দফায় জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

শাহিনের বড় ভাই আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, রোববার সন্ধ্যার মধ্যে স্থানীয় মাতবরদের নিয়ে এ ব্যাপারে মিটিং করা হবে। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

গ্রামের অনেকেই বলেছেন, মাতবররা আগেই শাহিনকে নিষেধ করলে এ ঘটনা ঘটতো না। গৃহবধূ আত্মরক্ষার জন্য যা করেছে তা তো ঠিকই করেছে। এ ছাড়া তার আর কী করার ছিল?

এ ব্যাপারে হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই শামসুজ্জোহা জানান, আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। যদি কেউ অভিযোগ করেন, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই