গৃহপালিত বিড়ালের গর্জিয়াস প্রদর্শনী

বিড়ালের দিনব্যাপী এক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী হয়ে গেল রাজধানীর প্রেসক্লাবের আউটার অডিটোরিয়ামে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলে। প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি প্রায় দুইশ’র বেশি প্রজাতির বিড়াল আনা হয়। এছাড়া বিড়ালের বিভিন্ন রঙের পোশাক ও খাবারের প্রদর্শনীও হয়।
ক্যাট কনসার্ন অ্যাসোসিয়েশন এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
সাপ্তাতিক ছুটি থাকার কারণে অনেকেই সপরিবারে এ আজব প্রদর্শনী দেখতে আসেন। এ কারণে সকাল থেকেই প্রদর্শনীস্থানে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
ধানমণ্ডি থেকে এসেছিলেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকতা জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশি অনেক বিড়াল শহরে বা গ্রামে দেখা যায়। কিন্তু এখানে এক সঙ্গে অনেকগুলো প্রজাতির বিড়াল বাচ্চাদের দেখাতে পারছি। তাই শোনা মাত্র চলে আসলাম।’

২

অবশ্য এ আয়োজনকে অনেকে বিজাতীয় বলে সমালোচনাও করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রবিন হাসান বলেন, ‘বিদেশে এ ধরনের অনুষ্ঠান বা প্রদর্শনীর প্রচলন আছে। এখন আমাদের দেশে চালু হচ্ছে। এ ধরনের সংস্কৃতি বাংলাদেশের জন্য কতটা ভালো হবে বুঝতে পারছি না। কারণ বিদেশি সংস্কৃতির চাপে দেশীয় সংস্কৃতি আজ হারাতে বসেছে।’
৩প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া ফারজানা হোসেন আদলের বিড়ালটি জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘এই বিড়ালটিকে নিজের সন্তানের মতো করে লালন পালন করছি। যখন মন খারাপ থাকে বিড়ালের সঙ্গে একটু সময় কাটালে মন ভালো হয়ে যায়।’ জন্মদিনে তার স্বামী বিড়ালটি উপহার দিয়েছিলেন বলে জানান ফারজানা।
ক্যাট কনসার্ন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘মানুষ যেন বিড়ালসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী, পশু-পাখির খুব কাছে আসতে পারে এ উদ্দেশ্যেই এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলাম।’
তিনি জানান, সংগঠনের মাধ্যমে বিড়াল লালন পালন করার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এক হাজার টাকা দিয়ে সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন। বিড়াল প্রদর্শনীর এই ধারাবাহিকতা অব্যাবহত থাকবে বলেও জানান এই আয়োজক।
সকালে ক্যাট শোর উদ্বোধন করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক শোয়েব চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যানিমেল কনসার্নের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ সরকার।
বিড়াল প্রদর্শনীতে অনেকে আবার পোষা পাখিও এনেছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই