গুণের আধার অ্যাভোকাডো

দেশী না হলেও সুপারশপগুলোর বদৌলতে অ্যাভোকাডো আমাদের কাছে বেশ পরিচিত একটি ফল। আজকাল সুলভে হাতের কাছে ফলটি কিনতে পাওয়া যায়। অ্যাভোকাডো সাধারণত সালাদের সঙ্গে খাওয়া হয়। পুষ্টি বিবেচনায় ফলটি অনেক বেশি সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং কে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান। সৌন্দর্যচর্চায়ও নানাভাবে ব্যবহার করা হয় অ্যাভোকাডো। আজ জেনে নেব, নানা রকম গুণের আধার অ্যাভোকাডোর গুণ সম্পর্কে।

প্রতি ১০০ গ্রাম অ্যাভোকাডোতে রয়েছে এনার্জি ১৬০ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৮.৫৩ গ্রাম, ফ্যাট ১৪.৬৬ গ্রাম, প্রোটিন ২ গ্রাম, জলীয় অংশ ৭৩.২৩ গ্রাম, ভিটামিন এ ৭ আইইউ, বিটা ক্যারোটিন ৬২ আইইউ, থায়ামিন ০.০৬৭ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লেভিন ০.১৩ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ১.৭৩৮ মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড ১.৩৮৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.২৫৭ মিলিগ্রাম, ফোলেট ৮১ আইইউ, ভিটামিন সি ১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই ২.০৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন কে ২১ আইইউ, ক্যালসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৫৫ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৯ মিলিগ্রাম, ম্যাংগানিজ ০.১৪২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৫২ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৪৮৫ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৭ মিলিগ্রাম, জিংক ০.৬৪ মিলিগ্রাম, ফ্লুরাইড ৭ আইইউ।

* প্রতিদিন খাবার তালিকায় অ্যাভোকাডো রাখতে পারলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। বিশেষ করে আলঝেইমার্স ডিজিজে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আলঝেইমার্স এর প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা রোগীদেরও নিয়মিত অ্যাভোকাডোযুক্ত খাদ্যগ্রহনের মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।

* অ্যাভোকাডোতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কিডনির রোগ প্রতিরোধে খুবই সহায়ক।

* নানা কারণে চোখের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। অ্যাভোকাডোতে লিউটিন নামের একটি ক্যারোটিনয়েড আছে, যা এসব ক্ষতির হাত থেকে আমাদের চোখকে রক্ষা করতে পারে এবং বাড়িয়ে দিতে পারে আমাদের দৃষ্টিশক্তি।

* অ্যাভোকাডোতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে ওজন কমানো সম্ভব।

* ভ্রূণের সঠিক পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য গর্ভবতী মায়ের দরকার ফলিক এসিড গ্রহণ করা। কৃত্রিম ফলিক এসিড তৈরি করতে পারে স্বাস্থ্য জতিলতা। তাই প্রাকৃতিকভাবে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো গ্রহণ হতে পারে একটি নিরাপদ বিকল্প।

* এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ খাদ্য হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

* অ্যাভোকাডোর নির্যাস দিয়ে তৈরি মাস্ক, ক্লিনজার, স্ক্রাব চেহারায় উজ্জ্বলতা আনে। বিশেষ করে অ্যাভোকাডো অয়েল থেকে কন্ডিশনার, ময়েশ্চারাইজার, ক্লিনজার ও ফেসিয়াল অয়েলের মতো নানা ধরনের পণ্য ত্বকের যত্নে অনন্য ভূমিকা পালন করে।

* অ্যাভোকাডোতে থাকা গ্লুটামাইন অ্যামিনো অ্যাসিড থাকার কারণে ত্বক পরিষ্কার করে দারুনভাবে। অ্যান্টি এজিং ফল হিসেবেও অ্যাভোকাডো সুপরিচিত।

* যারা চুল নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত অ্যাভোকাডো জুস পান করতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই