গাবতলী দফায় দফায় পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ

পরিবহন শ্রমিক-পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা। পুলিশ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে শ্রমিকরা গাবতলী টার্মিনাল এলাকা অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল থেকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিল। পুলিশ তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করলে তারা একপর্যায়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের পর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা র‌্যাকারে আগুন দেয়। এরপর পুলিশকে ধাওয়া করে পুলিশ বক্সেও আগুন দেয়।

ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির আগুন নেভাতে এলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গাড়ি ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।

অল্প সময়ের মধ্যেই শ্রমিকরা পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়। গাবতলী টার্মিনালের পশ্চিম দিক থেকে পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

এ ঘটনায় এখনো কোনো শ্রমিককে আটক করা হয়নি বলে জানান মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) সৈয়দ মামুন মোস্তফা।

উল্লেখ্য, ঢাকার সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে সোমবার ট্রাকচালক চালক মীর হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া পরিচালক তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীর নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন মানিকগঞ্জের আদালত।

এ রায় ঘোষণার পর থেকেই ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি বিভাগে অঘোষিত কর্মবিরতিতে গেছে গাড়ি চালকরা। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছে তারা।



মন্তব্য চালু নেই